চিকিৎসক নিয়োগে বিশেষ বিসিএস চায় পিএসসি

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ফটো

বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে চায় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সাধারণ বিসিএস থেকে চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক না পাওয়ায় এ উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। যদিও এটি এখনও প্রাথমিক আলোচনার পর্যায়ে আছে।

এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। তবে তারা বলছেন, এ ক্ষেত্রে প্রতি বছরই একটি করে বিশেষ বিসিএস নেওয়া হোক। কারণ প্রচলিত পদ্ধতিতে সাধারণ জ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি বা গণিতের মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে তাদের মেধা যাচাইয়ের সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে তাদের একাডেমিক পড়াশোনার আলোকে প্রশ্ন করে নিয়োগ দিলে দক্ষ ও যোগ্য চিকিৎসক পাওয়া যাবে।

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, কোন একটি নির্দিষ্ট সংস্থায় ৫০০ এর বেশি প্রার্থী নিয়োগ সুপারিশের ক্ষেত্রে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো দরকার। এতে দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম শেষ করা যায়। প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষা পর্যন্ত সব কিছু দ্রুত সম্পন্ন করা যায়। 

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ৪৬তম বিসিএসের মাধ্যমে এক হাজার ৬০০ এর বেশি চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে আমরা ধারণা করছি, এত প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করা সম্ভব হবে না। কেননা লিখিত পরীক্ষায় এত প্রার্থীই নেই। প্রিলিমিনারিতে অনেকেই বাদ পড়ে গেছেন।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিষয়টিতে চিকিৎসকদের কোনো দোষ নেই। সাধারণ বিসিএসের সাথে পরীক্ষা হওয়ায় তারা হয়তো পিছিয়ে পড়তে পারেন। এজন্য বিপুল সংখ্যক প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ বিসিএস হলে ভালো হয়। আমরা সরকারের কাছে আহবান জানাব, ৫০০ তার বেশি চিকিৎসক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ বিসিএসের ব্যবস্থা করার।

জানা গেছে, ৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আর ৪৬তম বিসিএসে মোট ৩ হাজার ১০০ ক্যাডার পদে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে বিসিএস সহকারী সার্জন এক হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। 

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, পিএসসি’র এই প্রস্তাবনা প্রশংসার দাবি রাখে। বাস্তবিক অর্থে চিকিৎসক সংকট দূর করতে হলে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কেননা একজন চিকিৎসক তার শিক্ষা জীবনের বড় একটি সময় জীববিজ্ঞান, পদার্থ, রসায়ন নিয়ে পড়ালেখা করেন। সেখানে তার গণিতসহ অন্যান্য বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকা কঠিন।


সর্বশেষ সংবাদ