কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২২, ০৪:৪০ PM , আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২২, ০৪:৪৯ PM
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এ পারিবারিক সহিংসতা ও অন্যান্য সহিংসতা রোধে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৪ জুলাই ফাউন্ডেশন ফর ল এন্ড ডেভেলপমেন্ট এবং সাইকিউর অর্গানাইজেশন যৌথভাবে সেমিনারটির আয়োজন করে।
"Domestic Violence and Mental Health: Everybody's Business" শিরোনামের এই সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ (FLAD-এর চেয়ারপারসন), ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম (FLAD-এর আইন ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক) এবং ফায়াজা আহমেদ (সিনিয়র সাইকোলজিস্ট এবং সাইকোথেরাপিস্ট)।
পুরো সেমিনারটিতে পারিবারিক সহিংসতা, তার গভীরতা, কারণ এবং সমাজের উপর প্রভাব বিশেষত মানসিক সমস্যার প্রকটতা নিয়ে আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ তার বক্তব্যে বলেন, “পারিবারিক সহিংসতা মাত্র স্বামী স্ত্রীর মধ্যেই সিমাবদ্ধ নয়, তাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও শিকার হন।“ সহিংসতার ভিকটিমরা শুধুমাত্র শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না, তারা মানসিকভাবে মারাত্মক বিপরযস্থ হন। এ কারণে বিভিন্ন ধরনের মাদকসেবন, উচ্ছিংখলতা ও আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে।
“পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষেরা নির্যাতক হিসেবে চিহ্নিত যেমন সত্য, তেমনই বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে পুরুষরাও মহিলাদের পাশাপাশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছে”, বলে ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম তুলে ধরেন। তার বক্তব্যে তিনি আরও বলেন যে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা সবসময় অদৃশ্যমান ঘটনা হয়ে বিরাজ করছে। তাই সময়ের দাবিতে আজ পুরুষ নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনের প্রবর্তন অতিব জরুরী এবং আবশ্যক। সেমিনারে সাইকিউর এর প্রতিনিধি সিনিয়র সাইকোলজিস্ট ফায়াজা আহমেদ পুরো নির্যাতনের প্রেক্ষাপটটি তুলে ধরেন এবং সঙ্গে সঙ্গে উনি বর্ণনা করেন কিভাবে মানসিক নির্যাতনের ভিকটিমরা প্রতিনিয়ত মানসিক অসুস্থতায় দিন পার করে, যেটি আমাদের সমাজ এখনও পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারে নাই।
সেমিনারে বলা হয়, ছোট শিশুদের মনেও বেশিরভাগ সময় তাদের প্রতি বিরুপ আচরণ, কটাক্ষ ও উদাসীনতা তাদেরকে মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার ফলে মানসিক স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে বলেন ও এ বিষয়ে সবাইকে ব্যপকভাবে প্রচার করার জন্য উৎসাহ দেন।
সেমিনারটি শেষ হওয়ার পর উৎসুক ছাত্রছাত্রী, অংশগ্রহণকারী বক্তাদের সাথে মতামত বিনিময় করে ও সাথে তারা তাদের প্রশ্নের উত্তরের সমাধান জানতে চায়।