নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সশরীরে পরীক্ষা নিচ্ছে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়

সশরীরে পরীক্ষা দিচ্ছেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
সশরীরে পরীক্ষা দিচ্ছেন হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হলেও সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের সশরীরে একাডেমিক পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ইউজিসির অনুমোদন নিয়েই তারা পরীক্ষার আয়োজন করেছে। তবে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে সশরীরে পরীক্ষা আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয়নি। কেবলমাত্র সীমিত পরিসরে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ল্যাব ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনানী মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিইউএমএস) প্রোগ্রামের চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা সশরীরে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয় অভিযোগ রয়েছে গত প্রায় একমাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন সেমিস্টারের পরীক্ষা নিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অনেকটা বাধ্য হয়েই করোনার ঝুঁকি নিয়েও পরীক্ষা দিতে আসছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম অনলাইনেই পরিচালিত হচ্ছে। তবে ইউনানী মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি বিভাগের ফাইনাল সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সশরীরে নেয়া হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নানসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের ইউজিসিতে দেয়া নাম্বারে কল দেয়া হলে সেগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক ড. হাকিম নারগিস মারজান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইউনানী মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি বিভাগের পরীক্ষা নেয়ার জন্য ইউজিসি অনুমতি দিয়েছে। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারবো না।

তবে ল্যাব পরীক্ষার বাইরে সশরীরে কোনো পরীক্ষার নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ইউজিসি সদস্য (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা শুধুমাত্র কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহারিক পরীক্ষা ও ক্লাস নেয়ার অনুমতি দিয়েছি। একাডেমিক কোনো পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়নি। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি পরীক্ষা নিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ইউজিসির আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ