ইডিইউতে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষায় আগ্রহীদের মিলনমেলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৪৫ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০১৯, ০৮:৪৫ PM
‘এইচএসসি শেষ করেই উচ্চশিক্ষার জন্য কোথায় পড়বো তা ভাবছিলাম। ওয়েবসাইটে ঢাকা-চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখলাম ঘরের কাছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতেই বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি। তাই এই মেলায় এসেছি অ্যাডমিশন টেস্ট ও টিউশন ফি নিয়ে বিস্তারিত জানতে।’
কথাগুলো বলছিলেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) ফল ২০১৯ সেমিস্টারের অ্যাডমিশন ফেয়ারে আসা মাইশা তুলিহা মানসী। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ইডিইউ ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্পট অ্যাডমিশনে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের সুবিধা থাকায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণেচ্ছুরা ফরম নেন।
সকাল সাড়ে ৯টায় ফিতা কেটে মেলাটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মু. সিকান্দার খান। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি বিভাগের ছিলো আলাদা আলাদা স্টল। কিন্তু কিছু স্টলে ছিলো উপচে পড়া ভিড়।
এগুলো হলো:
অ্যাক্সেস অ্যাকাডেমি- যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীদের চিন্তা ও জ্ঞানের তারতম্য কমিয়ে আনা হয়; ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট লিডারশীপ এক্সপেরিয়েন্স- যেখানে শিক্ষার্থীদের বিদেশে নিয়ে গিয়ে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে সেখানকার কাজের ধরণ ও পরিবেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেয়া হয়; নেটওয়ার্কিং অ্যান্ড প্লেসমেন্ট সেল- যেখানে গ্রাজুয়েশন শেষে শিক্ষার্থীদের সঠিক চাকরি পাওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগে সহায়তা করা হয়।
বাংলাদেশে প্রথম শুরু হওয়া মাস্টার অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড লিডারশীপ নিয়েও ছিলো দর্শনার্থীদের অন্যরকম আগ্রহ।
মেলায় আগত একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত প্রীতম ভট্টাচার্য জানান, পাবলিক পলিসির সঙ্গে লিডারশীপের মতো আকর্ষণীয় একটি বিষয় যুক্ত করায় এটি আরো চমকপ্রদ হয়ে উঠেছে। এই প্রোগ্রামটির মাধ্যমেই সর্বপ্রথম রিসার্চ মাস্টার্সের সুযোগ এনেছে ইডিইউ, যা অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা যায় না। উচ্চতর গবেষণায় আগ্রহীদের জন্য এটি একটি দারুণ সুযোগ।
পাশাপাশি এমএ ইন ইংলিশের স্টলেও আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আনাগোনা ছিলো লক্ষণীয়। এই মাস্টার্স প্রোগ্রামটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- সমকালীন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ জোর দিয়ে তৈরি করা কারিকুলাম, যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় ব্যতিক্রম ও আধুনিক, এমনটাই মত দেন মেলায় আগত দর্শনার্থীরা।
বিকেল থেকে রাত আটটায় মেলা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইডিইউ ও বিএসএইচআরএমের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘অ্যাডভান্সড সার্টিফিকেট ইন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট’ (এসিএইচআরএম) নিয়ে জানতে এবং ভর্তি হতে আসেন বিভিন্ন কর্পোরেট অফিসে কর্মরত এক্সিকিউটিভরা। পাশাপাশি এমবিএতেও আগ্রহী অনেকেই ভর্তি ফরম নেন আজ।
ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেছেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা জোবায়ের মাহমুদ। এমবিএ ডিগ্রি অর্জনে আগ্রহী জোবায়ের বলেন, ঢাকায় পড়ার সময়ই চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির এমবিএর সুনাম শুনেছিলাম। আজ মেলায় এসে ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, ইডিইউ সম্পর্কে যা শুনেছিলাম, তা মিথ্যে নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, শুধুমাত্র পড়া ও সার্টিফিকেট দেয়াই আমাদের কাজ না। একজন শিক্ষার্থীকে পূর্ণাঙ্গ মানুষরূপে গড়ে তোলা, তার সম্ভাবনাগুলো বিকশিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজেকে প্রমাণের উপযোগী করে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয় হাতে নিয়েছে নানা রকম কার্যক্রম। এসব কর্মকান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্স ও সুযোগসুবিধা সম্পর্কে জানাতে এবং শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত জটিলতা কাটাতে এই অ্যাডমিশন ফেয়ার আয়োজন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ সামস উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টার শাফায়েত কবির চৌধুরী, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মো. নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির, প্রক্টর অনন্যা নন্দী প্রমুখ।