আইইউবিএটিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, দুই পক্ষের হাতাহাতি বললেন ভিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৯ PM , আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৬ PM

পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনসহ ১৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) শিক্ষার্থীরা। এসময় বহিরাগত দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলার ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে জানা গেছে। আজ শনিবার (১ মার্চ) দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহিরাগত দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করিয়েছে। এই ঘটনায় আমাদের তিনজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। একজনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়াও দুইজন আহত হয়েছেন। আহতরা সবাই উত্তরা ৭নং সেক্টরের ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুর রব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বহিরাগত দিয়ে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। আন্দোলনরত দুই গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির খবর শুনেছি। তবে এতে গুরুতর কোনো আহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। যেসব দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কিংবা একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সেসব দাবি তো আমরা মেনে নিতে পারি না ।
এর আগে দুপুরের পরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস শাটডাউন ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও আগামীকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আগুলিয়া ব্রিজে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
এদিন সকালে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনসহ ১৪ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে, পূর্বে যে দাবিগুলো করা হয়েছে, সেগুলো কি জন্য বাস্তবায়ন হয়নি এই মর্মে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে; একই দিনে একের অধিক পরীক্ষা, ছুটির দিনে কোনো প্রকার পরীক্ষা নেওয়া যাবে না এবং রিডিং ডে’র ছুটি বর্ধিত করতে হবে। এক্সাম সিস্টেম পরিবর্তন, যেমন- মিড ট্রাম সেন্ট্রালি বর্জন করতে হবে; কোনো প্রকার অতিরিক্ত ফি ছাড়া বিড়ম্বনা মুক্ত অনলাইন পেমেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ছাড়া যাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাদের ভার্সিটির কোনো পোস্টে পুনর্বহাল করা যাবে না; ইউজিসি রুলস অনুযায়ী ডিপার্টমেন্টাল ডিন দুই বছর অন্তর অন্তর পরিবর্তন করতে হবে; নামাজের আজানের পর ন্যূনতম ২০ মিনিট পর্যন্ত সকল প্রকার গান বাজনা বন্ধ রাখতে হবে এবং মসজিদে মাইকে আজান দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে; যারা ২৪১ ও ২৪২ ব্যাচের, তাদেরকে ১০০ শতাংশ স্কলারশিপে ৪ বছরে টোটাল খরচ ৩ লাখ ৯৬ হাজার, কিন্তু যারা ২৫১ ব্যাচের, তাদের ১০০ শতাংশ স্কলারশিপে দেখানো হচ্ছে ২ লাখ ৯৪ হাজার। এই ১ লাখ টাকা কমবেশি কেন? সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।
দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- পাশাপাশি কনভোকেশনে শিক্ষার্থীর সাথে অন্তত দু’জন গেস্টের অনুমতি দিতে হবে; নারী শিক্ষার্থীদের জন্য অন্তত তিনটি কমনরুমের ব্যবস্থা করা এবং প্রয়োজনীয় সুবিধা যেমন- স্যানিটারি প্যাড ও ফার্স্ট এইডের ব্যবস্থা রাখা; ভার্সিটির ক্লিনার এবং সিকিউরিটি স্টাফদের খাবারের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে দেওয়া; ক্লাস ডে-তে ইউনিভার্সিটিতে শুটিং বন্ধ করা এবং শুটিংয়ের নামে ক্যাম্পাসে অশ্লীলতা, অমার্জিত, ধূমপান এসব পরিহার করতে হবে।
দাবির মধ্যে রয়েছে- ইন্টার্নের সাথে কোর্স নিতে দিতে হবে (অন্তত ৬ ক্রেডিট) এবং ইন্টার্ন ও থিসিসের ক্রেডিট ফি কোথায় ব্যবহৃত হচ্ছে এর ব্যাখ্যা দিতে হবে; ২০ রমজানের পরবর্তী কার্যক্রম অনলাইনে করতে হবে এবং ঈদের পরবর্তী ছুটি বর্ধিত করতে হবে এবং চলমান দাবির পক্ষে এবং আন্দোলনে যুক্ত থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে হয়রানিমূলক কোনো প্রকার শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না।