ইউআইইউর শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হলে রেজিস্ট্রার অফিসকে জানানোর আহ্বান

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি  © ফাইল ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির শিকার হলে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতা দেওয়ার করার আশ্বাস দিয়েছে রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বানও জানানো হয়েছে। 

বুধবার (৩১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

এতে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা ইউ আই ইউ পরিবার অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বিগত কয়েকদিনের সংঘাতে আমাদের বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন এবং কয়েকজন নিরীহ শিক্ষার্থী আইনি হয়রানির শিকার হয়েছেন, যা নিয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আবার এদিকে আমরা চিরতরে হারিয়েছি আমাদেরই এক প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থী মো. ইরফান ভুঁইয়াকে। তার এই অকাল মৃত্যুতে ইউ আই ইউ পরিবার গভীর শোকাহত। আমরা তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। বলাবাহুল্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইরফানের পরিবারকে সর্বোচ্চ সহায়তায় বদ্ধপরিকর।

আরও বলা হয়, বিগত দিনগুলোতেও আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা যথাসাধ্য প্রয়াস নিয়েছি। আন্দোলনের এক পর্যায়ে নতুনবাজার এলাকায় অবরুদ্ধ ১০ জন ছাত্রীকে তাদের আবাস থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়। প্রায় একসপ্তাহ ঐসব ছাত্রীগন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অবস্থান করেন। এ ছাড়াও আহত ছাত্রছাত্রীদেরকে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা প্রদান ও নিরাপদে স্ব স্ব বাসস্থানে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

আমাদের যেসব নিরপরাধ ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন, সেসব ছাত্রছাত্রীদেরকে দ্রুত মুক্ত করে আনার লক্ষ্যে তাদের পরিবার এবং এডভোকেটের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষাসহ প্রয়োজনীয় সনদপত্র প্রদান করে আইনি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের বেশ কয়েকজন নিরপরাধ ছাত্রকে ছাড়িয়ে আনতে আমরা সক্ষমও হয়েছি।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের ছাত্রছাত্রীদেরকে শুরু থেকেই সার্বিক সহায়তা দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছিলেন। তবে এই কঠিন সময়ের সংবেদনশীলতার কথা বিবেচনা করে ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে সেবাগুলো এযাবৎ দেয়া হয়েছে। চলমান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সার্বক্ষণিক হেল্পলাইন স্থাপন করা হয়েছে। 

এছাড়াও বলা হয়, আহত ছাত্রছাত্রীদের জন্য চিকিৎসাসেবা সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। প্রয়োজনে হেল্পলাইনকে জানাতে হবে। আইনি সহায়তা প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিয়োজিত এডভোকেটের সহায়তা নেয়া যাবে। এ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে হেল্পলাইনে নিয়োজিত কর্মকর্তারা সমন্বয় করবেন।


সর্বশেষ সংবাদ