পড়াশোনার সঙ্গে চাকরিরও সুযোগ ইউআইইউতে

পড়াশোনার সঙ্গে চাকরিরও সুযোগ ইউআইইউতে
পড়াশোনার সঙ্গে চাকরিরও সুযোগ ইউআইইউতে  © টিডিসি ফটো

উন্নত বিশ্বের প্রথম সারির দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করার সুযোগ থাকে শিক্ষার্থীদের। নিজ শিক্ষালয়েই শিক্ষকদের সহকারী কিংবা গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজের এ সুযোগে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন নিজের অর্জিত অর্থেই। একই সাথে হাতে কলমে নিজেদের শানিত করার সুযোগ পান বিদ্যার্থীরা। দেশের বাইরের উচ্চশিক্ষালয়গুলোয় এসব সুযোগ অনেক বেশি থাকলেও বাংলাদেশে এখনও সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি এ সংস্কৃতি।

বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোয় এ সুযোগ খুবই সীমিত। হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এ সুযোগ থাকলেও তা উল্লেখ করার মতো নয়। উদাহরণস্বরূপ শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)। তবে এ জন্য প্রতিমাসে ছাত্র-ছাত্রীরা বেতন পাবেন মাত্র এক হাজার টাকা। এছাড়াও আরও কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সুযোগ থাকলেও তাতে নামমাত্র বেতন পেয়ে থাকেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণার বাতিঘর ইউআইইউ’র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ

তবে পড়াশোনার সঙ্গে ভালো বেতনে শিক্ষার্থীদের চাকরিরও সুযোগ দিয়ে দেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)’ এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ফলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে, আবার একইসঙ্গে দক্ষতাও অর্জন করে নিজেদের আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করার সুযোগ পাচ্ছে; যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য পাথেয় হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি সুযোগ রয়েছে ‘অন ক্যাম্পাস জব ও গবেষণা’র নানা সুযোগ। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে মেধাবী ও দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করার অপূর্ব সুযোগ দিচ্ছে দেশের অন্যতম এ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসেই রয়েছে খণ্ডকালীন ও পূর্ণকালীন চাকরির সুযোগ, যা শিক্ষাব্যয় নির্বাহের পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থীর মাসিক হাত খরচও চলে যায় অনায়াসেই।

প্রথমত যারা দুর্বল ছাত্রছাত্রী তারা শিখতে পারবে আর তাদের আমরা সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। দ্বিতীয়ত যারা একটু ভালো ছাত্রছাত্রী তারা ক্যাম্পাসে টিউটর হিসেবে কাজ করে কিছু আর্থিকভাবে বেনিফিট হতে পারছে—অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া, উপাচার্য, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

সাধারণত সেমিস্টার বা বার্ষিক হিসাব অনুযায়ী চাকরির সময়সীমা নির্ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। সেজন্য চাহিদাভিত্তিক ইনস্ট্রাক্টর, টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট— এ ৪ পদে খণ্ডকালীন ও পূর্ণকালীন চাকরির সুযোগ রেখে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এছাড়া প্রজেক্টভিত্তিক গবেষণা সহকারী (রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট) হিসেবেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের।

চাহিদাভিত্তিক এসব কাজে একটি সেমিস্টারের জন্য নিয়োগ পান আন্ডারগ্র‌্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্টরা। আর স্নাতক সম্পন্ন করার পরপরই সংশ্লিষ্ট বিভাগে শিক্ষকদের সহকারী (টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট) হিসেবে কাজের সুযোগ পান পূর্ণকালীন হিসেবে। তবে তাদের ক্ষেত্রে সেমিস্টার-ভিত্তিক কোনো সময় নির্ধারিত থাকে না চলতি শিক্ষার্থীদের মতো। একই রকম সুযোগ থাকে গবেষণা সহকারিদেরও। তারা ইউআইইউ’র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ (সিইআর), ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চ, বায়োইনফরমেট্রিকস রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ, ইনোভেশন, ইনকিউবেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশনে (আইরিক) গবেষণা সহকারী হিসেবে খণ্ডকালীন এবং পূর্ণকালীন হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।

আরও পড়ুন: এমআইটি-হার্ভার্ডের মতো গবেষণাগারের সুযোগ ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে

ইউআইইউর বিবিএ প্রোগ্রাম অফিস এবং গবেষণাগারের তথ্য বলছে, বর্তমানে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্সে (এসওবিই) বিভাগে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট (টিএ) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ৩ জন সাবেক শিক্ষার্থী। আর বিভাগে আন্ডারগ্র‌্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট (ইউজিএ) হিসেবে রয়েছেন ১২ জন বর্তমান শিক্ষার্থী। একইভাবে ইউআইইউর স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে (এসওএসই) টিএ হিসেবে ১০ জন এবং ইউজিএ হিসেবে কেই না থাকলেও সর্বশেষ সেমিস্টারে এ সংখ্যা ছিল ৫৫। এছাড়াও একই বিভাগের স্নাতোকোত্তর প্রোগ্রমে সহকারী হিসেবে রয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী।

বর্তমানে ইউআইইউর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিভাগটির সাবেক শিক্ষার্থী প্রশান্ত কুমার দাস। সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্নাতকে পড়াশোনা অবস্থায় আমি এখানে টিএ হিসেবে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে সরকারি ও বেসরকারি দুটি প্রজেক্টে কাজ করেছি। পড়াশোনা অবস্থায় এই কাজের অভিজ্ঞতা আমার জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে। একদিকে যেমন আর্থিক সাপোর্ট, অন্যদিকে কাজের অভিজ্ঞতা ক্যারিয়ারে এক ধাপ এগিয়ে রাখে।

আমরা আবেদন গ্রহণের পর শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিবেচনা করি। শিক্ষার্থীদের প্রাযুক্তিক দক্ষতা এবং যোগাযোগ দক্ষতা বিবেচনা করা হয়। এরপর বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়োগ প্রদান করা হয়মীর মোহাম্মদ মুনির, ডেপুটি রেজিস্টার, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

ইউআইইউতে রয়েছে চারটি স্কুল। স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকস, স্কুল অব হিউম্যানিটিস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস এবং স্কুল অব লাইফ সায়েন্সেস। এখানে বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ইনস্ট্রাক্টর, টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট পোস্টগুলোয় কাজ করে থাকেন।

ইউআইইউতে ক্যাম্পাস জবের ক্ষেত্রে সিজিপিএ-৩.৫০ থাকা আবশ্যিক। এছাড়াও নিয়োগের ক্ষেত্রে অ্যাকাডেমিক ভালো ফলাফলের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত দক্ষতা, ভালো যোগাযোগের দক্ষতাও যাচাই করা হয়। ফলে কাজটির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা একই সাথে এগিয়ে থাকেন পড়াশোনা ও গবেষণায়।

আরও পড়ুন: ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জে যেভাবে শ্রেষ্ঠত্বের জয়মালা বুঁনলো ইউআইইউ

যেসব শিক্ষার্থী ইন্সট্রাক্টর হিসেবে চাকরিতে জয়েন করেন তাদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে দুটি থিওরি কোর্স অথবা একটি থিওরি কোর্স এবং দুটি ল্যাব কোর্স অথবা চারটি ল্যাব কোর্স নেয়ার সুযোগ থাকে। আর এসবের জন্য একজন শিক্ষার্থী মাসে বেতন পান সর্বোচ্চ ৩৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।

একজন টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা। মাসিক বেতন পান সাড়ে ২২ হাজার টাকা। এছাড়া একজন গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্টের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার ১ ইউনিট কাজ করলে মাসিক ১৫ হাজার টাকা বেতন পায় একজন শিক্ষার্থী। আর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্টের ক্ষেত্রে সপ্তাহে ১০ ঘণ্টার ১ ইউনিট এবং ২০ ঘণ্টার ২ ইউনিট কাজ করলে মাসিক বেতন যথাক্রমে ৬ ও ১২ হাজার টাকা। শিক্ষার্থীদের ক্লাস টাইমের কথা বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পছন্দ অনুযায়ী টাইম স্লটের ব্যবস্থা রয়েছে।

ইউআইইউতে চাহিদাভিত্তিক ইনস্ট্রাক্টর, টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট, গ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট— এ ৪ পদে খণ্ডকালীন ও পূর্ণকালীন চাকরির সুযোগ রেখে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

ইউআইইউতে একজন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট সাধারণত ক্লাস শেষে কোনো বিষয়ে সমস্যা হলে সেটা বুঝিয়ে দেয়া, ক্লাসের বাইরে কাউন্সেলিং করা এবং অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন—এ তিনটি কাজ করে থাকেন।

একজন আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট হওয়ার দক্ষতা নিয়ে জানতে চাওয়া হয় ইউআইইউর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট মো. মেহেদী হাসানের কাছে। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সিএসই বিভাগে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে হলে সিজিপিএ-৩.৭০ এবং ৮০ ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হয়। যেসব ল্যাব কোর্সে ইউজিএ দরকার তার একটি তালিকা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরা পছন্দ অনুযায়ী এসব কোর্সে আবেদন করতে পারে। তবে কমপক্ষে ৯০ শতাংশ মার্ক থাকতে হয় ওই শিক্ষার্থীর।

আরও পড়ুন: ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের বিজয় কেতনধারী ইউআইইউ

ইউআইইউর পড়াশোনার পরিবেশ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় সবচেয়ে ভালো বলে মনে করেন রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করা বিবিএ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শাম্মি আক্তার তিশা। তিনি বলেন, এখানে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের সম্পর্ক তাদের অনেক বেশি শেখার সুযোগ দেয়। শিক্ষার পাশাপাশি ‘অন ক্যাম্পাস জব’, গবেষণা ও সহ-শিক্ষারও বিভিন্ন ধরনের সুযোগ রয়েছে। এসব সুযোগ তাদের আগামীর জন্য প্রস্তুত করছে।

শিক্ষার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাওয়া হয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ডেপুটি রেজিস্টার মীর মোহাম্মদ মুনিরের সাথে। তিনি বলেন, আমরা আবেদন গ্রহণের পর প্রথমেই শিক্ষার্থীদের ফলাফল বিবেচনা করি। এরপর শিক্ষার্থীদের প্রাযুক্তিক দক্ষতা এবং যোগাযোগ দক্ষতা বিবেচনা করা হয়। এরপর বিভাগ থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়োগ প্রদান করা হয়। এটি বিভাগের চাহিদার ভিত্তিতেই করা হয়ে থাকে।

ইউআইইউ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পরপরই সংশ্লিষ্ট বিভাগে শিক্ষকদের সহকারী (টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট) হিসেবে কাজের সুযোগ পান পূর্ণকালীন হিসেবে। তবে তাদের ক্ষেত্রে সেমিস্টার-ভিত্তিক কোনো সময় নির্ধারিত থাকে না চলতি শিক্ষার্থীদের মতো। একই রকম সুযোগ থাকে গবেষণা সহকারিদেরও।

শিক্ষার্থীরা এসব শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং গবেষণাগারে সহযোগী হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে নিজেদের আগামীদিনের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করার সুযোগ পান। এছাড়াও তার বিষয়গুলো হাতে-কলমে শেখার পাশাপাশি অন্য শিক্ষার্থীদের শেখানোরও বড় সুযোগ অর্জন করেন। এতে তাদের দক্ষতা অর্জিত হয় এবং তারা সম্পূর্ণ বাজার চাহিদার উপযোগী হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারেন—যুক্ত করেন মীর মোহাম্মদ মুনির।

ইউআইইউর স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুসা বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীরা অন ক্যাম্পাস জবের সুযোগ পেয়ে থাকেন। কিন্তু আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেই সুযোগটি কম।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের পদচারণায় ইউআইইউতে জমে উঠেছে ইংলিশ অলিম্পিয়াড 

“ইউআইইউতে ফোর্থ ইয়ারে বা থার্ড ইয়ারে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। কেননা আমাদের অনেক শিক্ষকের গবেষণার জন্য রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রয়োজন হয়। তখন সেখানে শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেয়া হয়। তাছাড়া শিক্ষকের সহযোগিতার জন্য টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টও দরকার হয়। এজন্য ইউআইইউতে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট, টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং স্টুডেন্টদের হেল্প করার জন্য লোকবল প্রয়োজন হয়।”

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়টির সব শিক্ষার্থীদের এসব ‘অন ক্যাম্পাস জব ও গবেষণার সুযোগ দেওয়ার সম্ভব না জানিয়ে তিনি বলেন, যতটুকু পারি আমরা শিক্ষার্থীদের এসব ‘অন ক্যাম্পাস জব’ ও গবেষণার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিয়ে থাকি।

আরও পড়ুন: পরিশ্রম ও শৃঙ্খলাময় পড়াশোনায় সোনা মোড়ানো সাফল্য তাদের

ইউআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়া বলেন, মেধার ভিত্তিতে ইউআইইউতে শিক্ষার্থীদের ‘অন ক্যাম্পাস জব ও গবেষণার সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। যেসব শিক্ষার্থী একশ বা তার থেকে বেশি ক্রেডিট কমপ্লিট করে ফেলছে অর্থাৎ ফোর্থ ইয়ারে বা থার্ড ইয়ারের শেষের দিকে আছে, যারা রিসার্চে ভালো তারা শিক্ষকদের সাথে আরএ হিসেবে কাজ করতে পারবে। তাদেরকে মাসিক একটা টাকার ব্যবস্থা করা আছে। তাছাড়া আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা অর্থাৎ যারা পাস করে গেছে তারাও এ সুযোগ পেয়ে থাকেন।

“আরেকটা জিনিস, এখানে কিছু ছাত্রছাত্রী দেখা যাচ্ছে খারাপ ফল করে এবং তারা শিক্ষকদের কাছে যেতে চায় না। তাদের যদি বড় ভাই বা বোন যারা ভালো রেজাল্ট করে তাদের যদি আমরা টিউটর হিসেবে নিয়োগ দিতে থাকি। ক্লাস শেষে যদি এসব বড় ভাই বা বোনদের কাছে অর্থাৎ টিউটরদের কাছে যায় তাহলে তারা বেসিক কিছু জিনিস যেগুলোতে তারা দুর্বল এতে তারা কিছু শিখতে পারছে। এটার দুটো লাভ। প্রথমত, যারা দুর্বল ছাত্রছাত্রী তারা শিখতে পারবে আর তাদের আমরা সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। দ্বিতীয়ত যারা একটু ভালো ছাত্রছাত্রী তারা ক্যাম্পাসে টিউটর হিসেবে কাজ করে কিছু আর্থিকভাবে বেনিফিট হতে পারছে।”


সর্বশেষ সংবাদ