স্টেট ইউনিভার্সিটিতে রাজস্থানী কাঠপুতুল নাচের আয়োজন

স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)-তে রাজস্থানী কাঠপুতুল নাচের আয়োজন
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি)-তে রাজস্থানী কাঠপুতুল নাচের আয়োজন  © টিডিসি ফটো

স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এসইউবি) দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য দেশের সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় শিক্ষার্থীদের সাথে পরিচয় করাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ অক্টোবর এসইউবির স্থায়ী ক্যাম্পাসে এসইউবির গণসংযোগ বিভাগ এবং ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’র সহযোগীতায় ‘‌কাঠপুতুল—রাজস্থানের পুতুলনাচ’ শীর্ষক দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস’র পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী। আরো উপস্থিত ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অনুষ্ঠান নির্বাহী সতীশ ইয়াদো। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসইউবির রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জামাল হোসেন। 

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন এসইউবির গণসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. তারেক ওমর এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক অসিম ভাটনাগার। 

DSC03693

ভারতের রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী কাঠপুতুল নাচ

ভারতের ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানের পুতুলনাচের পরিচিতি দুনিয়াজুড়ে। কাঠপুতলি বা কাঠপুতুল ভারতের রাজস্থানের স্থানীয় এক ধরনের পুতুলনাচ। এটি রাজস্থানের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, কাঠপুতলি শিল্পের ঐতিহ্য হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। রাজস্থানের বসবাসকারীরা প্রাচীনকাল থেকেই এ শিল্প সম্পাদন করে আসছে। এটি রাজস্থানি সংস্কৃতির বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের চিরন্তন অংশে পরিণত হয়েছে। 

এসইউবি ‘কাঠপুতুল—রাজস্থানের পুতুলনাচ’-এর পরিবেশনায় ছিলো একই সঙ্গে নৃত্য ও পুতুলনাচ। পুতুলনাচের প্রথম অংশের গল্পটি হচ্ছে ভারতের উত্তরাঞ্চলের একটি ছোট গ্রামের ভোরবেলায় দৈনন্দিন জীবন ও জীবিকার কিছু চিত্র। দ্বিতীয় অংশটির দৃশ্যপট সম্রাট আকবরের প্রাসাদে, যিনি নিজের আনন্দের জন্য পুতুল ব্যবহার করতেন। 

পুতুলনাচের কলাকুশলীরা হলেন সিকান্দার খান, ঈশ্বর মাথুর, সুশীলা ও বিজয় ভট্ট। অনুষ্ঠানে এসইউবির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ঢাকার আজিমপুরের রায়হান কলেজ ও রূপগঞ্জের সলিমউদ্দিন কলেজের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আমন্ত্রন পেয়ে তারা খুবই আনন্দিত। এই ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের জানার আগ্রহকে আরো ত্বরান্বিত করবে বলে জানায় তারা।


সর্বশেষ সংবাদ