গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলনে অতিথি
সংবাদ সম্মেলনে অতিথি  © টিডিসি ফটো

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার শিক্ষাবিষয়ক ‘এসডিজি-৪’ অর্জনে কার্যকর কৌশল নির্ধারণের অংশ হিসেবে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই) ৪.০’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন।

বিশ্বের ৩৫টি দেশের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, গবেষক এবং নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তেরি করার লক্ষ্যে আগামী ১৭-১৮ ডিসেম্বর এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। 

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অর্গানাইজিং চেয়ার ও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, জার্নালিজম এ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, সম্মেলনের কো-চেয়ার ও ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এএসএম শিহাবুদ্দিন, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক  ড. মুহাম্মদ আমিনুর রহমান, ড. মুহাম্মদ আবুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, ডেনমার্ক, ভারত ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন গবেষকরা অংশ নেবেন। সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৭৬টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়েছে; যা থেকে ১৩৪টি প্রবন্ধ নির্বাচিত হয়েছে।

এছাড়া সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মোট ২১টি প্রবন্ধ জমা পড়েছে। এর মধ্যে বাংলা ভাষায় ৬টি, বাংলা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে ২টি, বাংলা ওসিআরে ২টি, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, সম্পর্কিত ৪টি, অনলাইন শিক্ষা সম্পর্কিত ২টি এবং কৃষি, স্বাস্থ্য ও নদী ব্যবস্থাপনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ে কয়েকটি প্রবন্ধ জমা পড়েছে। আয়োজকদের প্রত্যাশা, এসব প্রবন্ধ ভবিষ্যতে জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ নানা ধরনের কাজে সহায়তা করবে।

সম্মেলনের অর্গানাইজিং চেয়ার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ বলেন, বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বে অনেক ধরনের গবেষণা হয়, কিন্ত অনেক ক্ষেত্রেই তা শেষ পর্যন্ত কাজে আসে না। এসটিআই সম্মেলনকে প্ল্যাটফর্ম ধরে সেই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, প্রযুক্তি আমাদের দরকার। কিন্তু সেই প্রযুক্তির স্থায়ী কীভাবে বাড়ানো যায়, সম্মেলনে সেটিই আলোচনা করা হবে। 

ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এএসএম শিহাবুদ্দিন বলেন, এসটিআই শুধু সম্মেলন নয়, এটি একটি স্বপ্ন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এই অনুষ্ঠান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অঙ্গণে প্রথম সারির সম্মেলন হিসেবে রূপ পাবে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। 

আয়োজক কমিটি জানান, সম্মেলনে মূলত তিনটি পৃথক ট্র্যাক প্রাধান্য পাবে। এর মধ্যে রয়েছে- ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং, নেটওয়ার্ক অ্যান্ড সিকিউরিটি সিস্টেমস; এনার্জি, রোবটিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স, সেন্সরস অ্যান্ড কমিউনিকেশন এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। বিশেষ সেশন হিসেবে থাকবে এসটিআই এক্সপো-২০২২। সম্মেলনে উপস্থাপিত মোট ৩টি প্রবন্ধ ও পোস্টার পেপার প্রেজেন্টেশন ‘বেস্ট পেপার’ হিসেবে নির্বাচিত হবে। পরে বাছাইকৃত সব প্রবন্ধ আইইইই এক্সপ্লোর ডিজিটাল লাইব্রেরিতে স্থান পাবে।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, এসটিআই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো- শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষক ও অনুশীলনকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে গবেষণাপত্র উপস্থাপন, নতুন আইডিয়া তৈরি, সাসটেইনেবল টেকলোজির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের উপায় সংক্রান্ত নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে। যা মূলত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে।


সর্বশেষ সংবাদ