ঝালকাঠিতে শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ, তদন্তে কমিটি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫২ PM , আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৫২ PM
ঝালকাঠি জেলার কুশঙ্গল নিকারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে তিন ছাত্রকে বেত ও ঝাড়ু দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিজেই। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) সাইদুর রহমান স্বপন ও মো. কামরুজ্জামান রেজা।
ভুক্তভোগী তিন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, রবিবার বিদ্যালয়ে এসে বাংলা বই হারিয়ে ফেলে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্র। এজন্য প্রধান শিক্ষক সেলিম হোসাইনের কাছে একটি বাংলা বই চাইলে তিনি লিমনকে হাতপাখা দিয়ে পেটানো শুরু করেন। একপর্যায়ে পাখাটি ভেঙে যায়। খবর পেয়ে লিমনের মা লিজা বেগম বিদ্যালয়ে ছুটে গেলে প্রধান শিক্ষক মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
সপ্তাহ দুই-এক আগে ঝাড়ু বানানোর জন্য লোটাস নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রকে নারিকেলের শলা আনতে বলা হয়। ওই ছাত্র শলা না দিতে পারায় শিক্ষকদের ভয়ে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেয়। এরপর বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে সহকারী শিক্ষক মো. ফেরদৌস তাকে ধরে আনে। এ সময় সুলতানা নামে আরেক সহকারী শিক্ষিকা তাকে ঝাড়ুপেটা করেন। এছাড়া দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (দ্বিতীয় সাময়িক) পরীক্ষার পরদিন বিদ্যালয় না যাওয়ায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাজিন গাজিকে বেত দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
আরও পড়ুন: প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় মামলা
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনে প্রধান শিক্ষক তার ইচ্ছেমতো স্কুল চালাচ্ছেন। নিজের মতো করে আসেন বিদ্যালয়ে, ছুটিও দেন ইচ্ছেমতো। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর নিয়ম থাকলেও কয়েকজন শিক্ষক আসেন ১০-১১টার দিকে। বিদ্যালয়ে এসে কোনো রকমে দু-একটি ক্লাস নেন। এরপর বাড়ি যান তারা।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ফেরদৌস বলেন, লোটাস নামে ওই ছাত্রকে রাস্তা থেকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ডেকে নিয়েছিলাম। তখন সাবিহা ম্যাডাম তাকে ধমক দেন। তবে মারধর করেননি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) মো. আকতার হোসেন বলেন, ঘটনা তদন্তের জন্য দুজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে ওই বিদ্যালয়ের পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।