বিএনপির বাধায় জামায়াতের ইফতার মাহফিল পণ্ড হওয়ার অভিযোগ

ইফতার মাহফিলে বাঁধায় প্যান্ডেল খুলে নেওয়া হচ্ছে
ইফতার মাহফিলে বাঁধায় প্যান্ডেল খুলে নেওয়া হচ্ছে  © সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ইফতার মাহফিল পণ্ড করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ইফতারের মাত্র ৪০ মিনিট আগে দলটির নেতাকর্মীদের বাঁধায় এ আয়োজন পণ্ড হয় বলে অভিযোগ করেছে জামায়াত।  

সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় মাহমুদপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী মোল্লাপাড়া জামে মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  

জামায়াতের আড়াইহাজার উত্তর থানার আমীর মাওলানা মনিরুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুম শিকারীর নির্দেশে সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল ইফতার আয়োজন পণ্ড করে দেয়। হামলার আতঙ্কে অনেকেই ছুটোছুটি করেন। পরে বাধ্য হয়ে জামায়াত মসজিদের ভেতরে সংক্ষিপ্ত পরিসরে ইফতার সম্পন্ন করে।  

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ জেলা আমীর মমিনুল হক সরকার ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান। বিবৃতিতে তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী সব সময় মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল করে আসছে। কিন্তু বিগত ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিস্টদের শাসনামলে আমাদের কোনো সভা-সমাবেশ, এমনকি ইফতার আয়োজনও করতে দেওয়া হয়নি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পরও যদি আবার আমাদের শান্তিপূর্ণ একটি ইফতার মাহফিলেও বাধা দেওয়া হয়, তবে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিগত দুঃশাসনকালে আমাদের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে, অসংখ্য নেতাকর্মী গুম, খুন ও পঙ্গু হয়েছে। আমাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ন্যূনতম স্বাধীনতাও ছিল না। এখন আবার যদি কোনো গোষ্ঠী আমাদের ওপর একই ধরনের নিপীড়ন চালাতে চায়, তবে সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপি ও জামায়াত দীর্ঘদিন একসঙ্গে ছিল। এখন এই সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের উচিত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

জানা যায়, এই ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ইলিয়াস মোল্লা।  

এ বিষয়ে ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারের মুঠোফোনে অনেকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ