যে পরিবারের ৯ সদস্যের জন্ম একই দিনে

পরিবারের সকল সদস্য একই দিনে জন্মদিন পালন করছে
পরিবারের সকল সদস্য একই দিনে জন্মদিন পালন করছে  © সংগৃহীত

বেশিরভাগ মানুষের কাছেই জন্মদিন একটি বিশেষ দিন। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে মিলে দিনটি উদযাপন করতে ভালবাসেন তারা। যদি বাড়ির আরও একজনের জন্মদিন হয় একই দিনে, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু ভাবুন যদি একই পরিবারের ৯ জন সদস্যের জন্মদিন হয় একই দিনে! উদযাপন তো হবেই, সে তো অন্য ব্যাপার, কিন্তু শুনেই প্রথম যে প্রশ্নটা মাথায় আসে তা হল, এমনটাও আবার হয় নাকি?

কিন্তু এমনটা তো সত্যিই হয়েছে। পাকিস্তানের লারকানার সেই পরিবারের ৯ জন সদস্যের জন্মদিন একই তারিখে- ১ আগস্ট। বিরল এ ব্যাপারের জন্য তাদের নাম উঠেছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও। এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সবচেয়ে অবাক বিষয় হচ্ছে পরিবারের বাব-মায়ের বিয়েও হয়েছিল একই দিনে।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, ৯ সদস্যের সেই পরিবারে বাবা-মা ছাড়াও আছেন সাত সন্তান। সন্তানদের প্রত্যেকের বয়সই আবার ১৯-৩০ বছরের মধ্যে। মেয়ে (সাসুই-স্বপ্না) এবং ছেলেদের (আম্মার-আহমার) আবার আলাদা যমজ ভাই-বোনও আছে। এছাড়া বাকি তিন ভাই-বোন সিন্ধু, আমির ও আম্বারদের জন্মদিনও একই তারিখে। কোনো পরিবারের সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্যের একই তারিখে জন্ম নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি বিশ্বরেকর্ড।

আরও পড়ুন: তখন মায়ের কোলে, এখন সহপাঠী হয়ে ঢাবিতে আসবেন আলিফ

পরিবারের প্রধান আমির আলি ও তাঁর স্ত্রীর খাদিজার জন্ম ১ অগস্ট। শুধু তাই নয়, একই দিনে বিয়ে সেরেছিলেন তাঁরা। ১৯৯১ সালের ১ অগস্ট চারহাত এক হয় আমির-খাদিজার। ঠিক ১ বছর পর, ১ অগস্ট জন্ম নেয় তাঁদের বড় মেয়ে সিন্ধু। এরপর একে একে জন্ম হয় সসুই এবং স্বপ্না নামে দুই যমজ বোনের, আম্মর এবং আহমার নামে দুই যমজ ভাইয়ের। আমের এবং আকবর নামে আরও দুই সদস্য আসে পরিবারে, ওই একই দিনে।

গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ জানায়, পাকিস্তানের এই পরিবারের সাত সন্তানের দখলে আরেকটি রেকর্ড রয়েছে, সেটি হচ্ছে কোনো পরিবারের ভাই-বোনদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্যের একইদিনে জন্মগ্রহণ। তাদের আগে এ রেকর্ডটির মালিক ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কামিন্স পরিবার। সেই পরিবারের পাঁচ ভাইবোনের জন্মদিন ২০ ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ থেকে ১৯৬৬ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তারা একইদিনে জন্ম নেন।

১৯৯২ সালের ১ আগস্টে প্রথম সন্তান সিন্ধুর জন্মের পর আমির বেশ অবাকই হয়েছিলেন। নিজের, স্ত্রী ও সন্তানের জন্মদিন একই তারিখে হওয়াটা তার কাছে একইসঙ্গে আনন্দ এবং বিস্ময়ের উপলক্ষ হয়ে এসেছিল। পরবর্তীতে বাকি সন্তানরাও একইদিনে পৃথিবীর আলো দেখায় আমির আলীর সঙ্গে তার স্ত্রী খাদিজাও বেশ অবাক হয়েছিল। একইদিনে সব সন্তানের পৃথিবীতে আগমনকে তারা সৃষ্টিকর্তার উপহার বলেও মনে করেন।


সর্বশেষ সংবাদ