পিলখানা হত্যাকাণ্ড তদন্তে তথ্য চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি

পিলখানা হত্যাকাণ্ড
পিলখানা হত্যাকাণ্ড  © সংগৃহীত

২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড বিষয়ে সত্য উদঘাটন ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন সম্প্রতি একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, কমিশনের তদন্ত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে গণমানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য ও সাক্ষ্য চাওয়া হয়েছে।

কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দীর্ঘ ১৬ বছর আগে সংঘটিত এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহ জটিল হলেও কমিশন অত্যন্ত পরিকল্পিত ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

কমিশন সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে সহায়তা করতে যে কেউ নির্ধারিত ওয়েবসাইট bdr-commission.org এবং ই-মেইল (comission@bdr-commission.org) মারফত তথ্য পাঠাতে পারবেন। এছাড়াও, তথ্যদাতারা সরাসরি কমিশনে হাজির হয়ে বা কুরিয়ার ও ডাকযোগেও প্রাসঙ্গিক তথ্য জমা দিতে পারবেন।

কমিশনের ঠিকানা-বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম), নতুন ভবন (৭ম তলা), ড. কুদরত-এ-খুদা সড়ক, সায়েন্স ল্যাবরেটরি রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৫।

তথ্যদাতাদের জন্য একটি হটলাইনও চালু রাখা হয়েছে (প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত): ০১৭৬৯-৬০০২৮১।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে।

তথ্য জমা দেওয়ার সময় ওয়েবসাইটে তথ্যদাতার নাম, ফোন, ই-মেইল ও ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি তথ্যের ধরন নির্বাচন করতে হবে: শহীদ পরিবারের সদস্যদের বিবৃতি, প্রত্যক্ষদর্শী বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাক্ষ্য, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিবেদন, অডিও/ভিডিও/চিত্র/সংবাদচিত্র, মোবাইল কল রেকর্ড, মোবাইল বার্তা ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর

গণবিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান স্বাক্ষর করেছেন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার স্বরূপ উদঘাটন, ঘটনায় রুজুকৃত দুটি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত, ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার সহযোগী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী, ঘটনার সংঘটনকারী এবং ঘটনার অপরাপর সংশ্লিষ্ট বিষয় ও অপরাধীদের এবং সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী ব্যক্তি, গোষ্ঠী, সংস্থা, বিভাগ, সংগঠন চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে একটি ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ গঠন করেছে। ইতোমধ্যে উক্ত কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’

কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী কিছু কিছু বিদেশি দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করার বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং এই প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখা হয়েছে। প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে পিলখানা হত্যাযজ্ঞ নিয়ে প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। কমিশন সব তথ্য সংগ্রহ এবং পর্যালোচনা করেছে।

কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে এবং কোনো প্রকার চাপ বা প্রভাব মুক্ত অবস্থায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

গত বছরের ২৪ ডিসেম্বরে সরকারের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ এর অধীনে মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমানকে (অবসরপ্রাপ্ত) সভাপতি করে ‘পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের’ বিষয়ে ‘জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন’ গঠন করা হয়। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার উদঘাটন এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে এ জাতীয় স্বাধীন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ