‘দায়িত্বরত সদস্যরা নামাজ পড়তে গেলে প্রতিকৃতিতে আগুন দেওয়া হয়’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫০ AM , আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫০ AM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও আরেকটি শান্তির পায়রা।
এই মোটিফের দায়িত্বে ছিলেন মোবাইল টিমের সদস্যরা। তারা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য গিয়েছিলেন। এরপরই আগুন লেগে সব পুড়ে যায়।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. ইসরাফিল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিকে টার্গেট করে আগুন লাগানো হয়েছে। ওই আকৃতি পুরোটাই পুড়ে গেছে। একই সঙ্গে পায়রার অবয়বটাও পুড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘ভোর পৌনে ৫টা থেকে ৫টার মধ্যে আগুন লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ তখন দায়িত্বরত মোবাইল টিমের সদস্যরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য গিয়েছিলেন। তখনই হয়তো এই কাজটি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুন লাগার পরই খবর পাই। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে ওটা পুরোটাই পুড়ে যায়। আগুনটা ইচ্ছে করেই লাগানো হয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে, তা জানা যায়নি। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আগুন পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিগত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল। তবে আগুন পরিকল্পিত কি না, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। ভোর ৪টা পর্যন্ত শিক্ষকরা কাজ করেছে। ফজরের নামাজের সময়টাতে এ ঘটনা ঘটেছে।’
গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এবারকার প্রধান মোটিফ ছিল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি।’ এটির উচ্চতা ২০ ফুট। এই মোটিফে বাঁশ ও বেত দিয়ে দাঁতাল মুখের এক নারীর মুখাবয়ব বানানো হয়। মাথায় খাঁড়া চারটি শিং, হাঁ করা মুখ, বিশালাকৃতির নাক ও ভয়ার্ত দুটি চোখ।