নববর্ষের শোভাযাত্রায় শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য রাখার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৩ PM , আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৯ PM

গত বছর জুলাইয়ে কোটা বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের রংপুরে সহিংসতায় নিহত আবু সাঈদের ২০ ফুট দীর্ঘ একটি ভাস্কর্য থাকার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনুষদের ডিন অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম শেখ। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছেন, প্রাথমিক কাজ হিসাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়। নববর্ষের শোভাযাত্রায় এই আয়োজন জুলাই আন্দোলনের চেতনা তুলে ধরার জন্য।
চারুকলা অনুষদের ডিন জানান, এবার প্রাথমিকভাবে বড় আকারের চারটি ভাস্কর্য রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে থাকবে ২০ ফুট দীর্ঘ জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদের ভাস্কর্য। আরও থাকবে একটি করে বাঘ, পাখি ও স্বৈরাচারের প্রতীকী ভাস্কর্য। আর অনেক মুখোশ থাকবে। তিনি জানান, শোভাযাত্রার কোন পথে যাবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা থাকবে, না পরিবর্তন করা হবে, সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়নি। সামনে আরও সময় আছে, তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
অধ্যাপক আজাহারুল ইসলাম শেখ বলেন, এ সভায় এবারের নববর্ষ উদ্যাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নববর্ষে ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। চারুকলা অনুষদ বরাবরের মতোই শোভাযাত্রার মূল আয়োজন করবে। তবে এবার এ শোভাযাত্রা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক। এতে দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব থাকবে। তারা তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপাদানগুলো নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। শিল্পকলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে তারা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখে কয়েক দশক ধরে চলছে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। চারুকলা ১৯৮৯ সাল থেকে পয়লা বৈশাখে শোভাযাত্রা করে আসছে। শুরুতে নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিতে অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলের আহ্বানের মর্মধারণে এর নাম হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘বিশ্বের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের’ তালিকাভুক্ত করে।