দাবি মেনে নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, হোলিতে মাতল শিক্ষার্থীরা

দাবি মেনে নিতেই শিক্ষার্থীদের আবির মেখে উল্লাস শুরু হয়
দাবি মেনে নিতেই শিক্ষার্থীদের আবির মেখে উল্লাস শুরু হয়  © সংগৃহীত

ছাত্রাবাস, ক্যান্টিন খোলা এবং পাঠ্যক্রম শেষ না হওয়া এই সেমিস্টারে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় ছাত্র আন্দোলন। টানা ২৬ দিন বিক্ষোভের পর বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হল, ছাত্রাবাস খুলে দেওয়া হচ্ছে এবং প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা অনলাইনেই নেওয়া হবে। দাবি মেনে নিতেই শিক্ষার্থীদের আবির মেখে উল্লাস শুরু হয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।

ছাত্রাবাস ও ক্যান্টিন খুলতে হবে, কারণ বহু পড়ুয়া দূর-দূরান্ত থেকে এসে বিশ্বভারতীতে পড়াশোনা করে। এছাড়া, পাঠ্যক্রম শেষ না হওয়ায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমিস্টার অনলাইনে নিতে হবে। এই দুই দাবিতে ২৬ দিন ধরে লাগাতার বিশ্বভারতীতে আন্দোলন চলছিল।

কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও বাংলাদেশ ভবন, দুই দফায় কর্মসচিবসহ আধিকারকদের ঘেরাও করে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। চলে মিছিল, অনশন, পরীক্ষা বয়কট, অবস্থান বিক্ষোভ ।

ফলে কার্যত অচল হয়ে ছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। আন্দোলনের জেরে ইস্তফা দেন কর্মসচিব আশিস আগরওয়াল-সহ জনসংযোগ আধিকারিক ও বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষ৷ অচলাবস্থা কাটাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অনড় ছিলেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। শেষ পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷

বিক্ষোভের ২৬ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল লাইব্রেরি সভাকক্ষে আন্দোলনকারী ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, কয়েক ঘন্টার আলোচনা, টালবাহানার পর সন্ধ্যায় আন্দোনলনকারী পড়ুয়াদের দাবি মেনে নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

পরে এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় কর্তৃপক্ষের তরফে। তাতে উল্লেখ করা হয়, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রথম সেমিস্টার অনলাইনেই হবে। বিজ্ঞপ্তি জারির ২ সপ্তাহের মধ্যে এই পরীক্ষা হবে। এমনকি, দ্রুত ছাত্রাবাসও খুলে দেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ