১৫৫ দিনে বিশ্বভ্রমণে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন কিশোরী জারা

জারা রাদারফোর্ড
জারা রাদারফোর্ড  © সংগৃহীত ছবি

অনেক শ্বাসরুদ্ধকর গল্পের জন্ম দিয়ে। শত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে। দাঁতে দাঁত চেপে, অদম্য মানসিকতাকে পুঁজি করে। পাঁচটি মহাদেশের ৩১টি দেশে উড়াল দিয়ে সম্পন্ন করেছেন এক অবিশ্বাস্য রোমাঞ্চকর যাত্রা। সবচেয়ে কমবয়সি নারী হিসেবে একা একা একমাস উড়ে গোটা বিশ্বজুড়ে উড়ে বেড়ানোর রেকর্ড গড়লেন ১৯ বছর বয়সী জারা রাদারফোর্ড।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ছিল সেই যাত্রার শেষ দিন। জারার তাই এখন যেন আর আবেগ বাঁধ মানছে না। ব্রাসেলসে নিজের বাড়িতে বসে পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করছেন নিজের সফলতার।

আরও পড়ুন: হুন্ডুরাসের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট জিওমারা ক্যাস্ট্রো

তবে নিজগৃহে যত আরাম-আয়েশেই কাটুক না কেন তার বর্তমান, ১৫৫ দিনের অভিযাত্রার কথা কি আর ভুলতে পারেন তিনি! মাত্র দুই আসনের একটি শার্ক মাইক্রোলাইটে বসেই তিনি দেখেছেন পৃথিবীর বুকে বিদ্যমান সবচেয়ে শীতল, ধোঁয়াটে ও ভেজা কিছু স্থান। তার বিমানটি এত ছোট ও হালকা ছিল যে, কেবল একজন মানুষই সেটিকে রানওয়েতে ধাক্কা দিয়ে এগিয়ে নিতে সক্ষম।

২০২১ সালের ১৮ আগস্ট যাত্রা শুরু করেন জারা। সেখান থেকে তিনি একে একে উড়ে যান যুক্তরাজ্য, গ্রিনল্যান্ড, আমেরিকা ও রাশিয়ায়। তারপর তিনি ধাবিত হন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দিকে। এরপর ভারত ও মধ্যপ্রাচ্য হয়ে আবারো ফিরে আসেন ইউরোপে।

জারার বাবা-মা দুজনেই ছিলেন পাইলট। তাই হামাগুড়ি দেবার বয়সেই ছোট ছোট বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা লাভ করে ফেলেন তিনি। আর বিমান ওড়ানোর লাইসেন্স পান ১৭ বছর বয়সে।

জারার কঠিনতম টাস্কগুলোর মধ্যে একটি ছিল সাইবেরিয়ার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া। সাইবেরিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হয়তো চোখ ধাঁধিয়ে দেয়, কিন্তু সেই ভয়ংকর সুন্দরের উপর দিয়ে উড়তে গেলে বুকে কাঁপনও ধরে।

রাতের বেলা যেমন জারা বিমান নিয়ে উড়তে পারতেন না, তেমনই ওড়া সম্ভব ছিল না আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও। ফলে দ্রুত শেষ হয়ে আসা সময়ের বিরুদ্ধেও লড়ে যেতে হচ্ছিল তাকে। কী হতে পারে সে ভাবনা বাদ দিয়ে তিনি বাধ্য হন বিমানচালনায় মনোনিবেশ করতে। তবে কোনো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাও তিনি আঁটতে পারছিলেন না। তাকে এগোতে হচ্ছিল পাঁচ মিনিট, দশ মিনিট করে। কারণ আগামী দুই ঘণ্টায় বা চার ঘণ্টায় আবহাওয়া রাতারাতি বদলে যেতে পারে।

আরও পড়ুন: একাধিক সাক্ষাৎকারেও যোগ্য শিক্ষক পায়নি সংস্কৃত-উর্দু বিভাগ

জারা বলেন, বিশ্বব্যাপী আমার পুরো ট্রিপের জন্য যে পরিমাণ জ্বালানি ব্যয় হয়েছে, একটি বোয়িং সমপরিমাণ জ্বালানি মাত্র দশ মিনিটেই ব্যয় করে। তাই আমার এই যাত্রার কিছু নেতিবাচক প্রভাব থাকলেও, প্রথম দর্শনে যতটা মনে হয় ততটা মোটেই নয়। তাছাড়া আমি কিছু কার্বন অপসারণের কাজও চালাচ্ছিলাম।

জারার ইচ্ছা যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনার। তিনি মনে করেন, বিমান চলাচলকে আরো বেশি সবুজ করে তোলার কাজে যুক্ত হতে পারেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence