চাপ কমিয়ে ভারতের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ১ জুন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ মে ২০২১, ০৬:৩৫ PM , আপডেট: ২৩ মে ২০২১, ০৭:৩১ PM
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের সিবিএসই, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত হচ্ছে না। করোনা আবহেই চাপ কমিয়ে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে রাজ্যগুলোকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা রাজনাথ সিং। গত বছরের মতো এবারও জুলাইয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলোর মধ্যে আজ রবিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কোন পদ্ধতিতে এসব পরীক্ষা আয়োজন করা হবে এ বিষয়ে এখনো পরিষ্কার নয় কর্তৃপক্ষ। রাজনাথ সিং বলেছেন, শিক্ষার্থীদের চাপ কমিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতি বিষয়ে তিন ঘণ্টার বদলে দেড় ঘণ্টায় নেয়া যেতে পারে। তবে দেশটির কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল জানিয়েছেন, কী ফরম্যাটের পরীক্ষা হবে এবং সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষার তারিখ ১ জুন জানিয়ে দেবেন।
এর আগে এদিন দুপুরে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলোরর মধ্যে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে দু’টি প্রস্তাব উঠে এসেছে। রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, তারা পছন্দমতো বিকল্প বেছে নিতে পারে। কিছু কিছু রাজ্য অবশ্য তৃতীয় বিকল্পেরও দাবি জানিয়েছে।
পড়ুন: নাজেহাল বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
প্রস্তাবগুলো হলো- কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। সিবিএসই আগেই এমন প্রস্তাব দিয়েছিল। অন্য প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সব বিষয়ের উপরেই পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে, তবে পরীক্ষায় সময়সীমা তিন ঘণ্টার পরিবর্তে কমিয়ে দেড় ঘণ্টা করা হোক। এমসিকিউ এবং ছোট প্রশ্নের উপর বেশি জোর দেওয়া হোক।
দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পরিস্থিতি তারা পরীক্ষা নেয়ার কথা ভাবছেই না। অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ণের ভিত্তিতে পাশ-ফেলের বিচারের পক্ষে তারা।
গত এপ্রিলে সিবিএসই বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। তারপর উচ্চপর্যায়ের এ বৈঠক অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল দেশটির শিক্ষার্থীদের কাছে। রবিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্র্রী রাজনাথ সিংহ, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল, কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
দেশটির কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল বলেন, দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় নিয়ে আমরা শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব। সেইসঙ্গে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মনে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা দূর করতে পারব। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং ভবিষ্যৎ আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।