ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত সিরিয়া

১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরে যেতে প্রস্তুত সিরিয়া
১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরে যেতে প্রস্তুত সিরিয়া  © সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৭৪ সালের নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি পুনরায় বাস্তবায়নে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার। এই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতাও চেয়েছে তারা। শুক্রবার (৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শাইবানি। খবর আরব নিউজের।

বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনালাপের পর আল-শাইবানি জানান, ‘আমরা ১৯৭৪ সালের চুক্তিতে ফিরে যেতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত।’

এর আগে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও দূত থমাস ব্যারাক বলেন, সিরিয়া ও ইসরায়েল বর্তমানে একটি অর্থপূর্ণ আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে সীমান্ত-সংঘাতের সমাধান এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথ উন্মুক্ত হতে পারে।

প্রসঙ্গত বাশার আল-আসাদের শাসনের পতনের পর থেকে দক্ষিণ সিরিয়ায় একাধিকবার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গোলান মালভূমি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বহু দশকের পুরোনো। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধে এই মালভূমির অধিকাংশ অংশ দখল করে নেয় ইসরায়েল এবং ১৯৮১ সালে একতরফাভাবে তা নিজেদের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আজও সেই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি।

আরব নিউজ জানিয়েছে, ১৯৭৩ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল ও সিরিয়ার সরাসরি সংঘাতের এক বছর পর ‘বিচ্ছিন্নতা রেখা’ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। ওই চুক্তির আওতায় জাতিসংঘের নিয়ন্ত্রণে একটি ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ বাফার জোন তৈরি করা হয়।

এদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার গত সোমবার বলেন, সিরিয়া ও লেবাননের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করায় তেলআবিব আগ্রহী। তবে ভবিষ্যতের কোনো চুক্তিতেই গোলান মালভূমি ‘ইসরায়েলের অবিচ্ছেদ্য অংশ’ হিসেবে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ প্রেক্ষাপটে সিরিয়া-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত স্থিতিশীলতায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তবে গোলান মালভূমি ইস্যুতে দুই দেশের অবস্থান এখনো স্পষ্টভাবে বিপরীতমুখী।


সর্বশেষ সংবাদ