যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে ইইউকে একজোট হওয়ার ডাক চীনের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৭ PM , আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৭ PM

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একতরফা শুল্কনীতির বিরুদ্ধে এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাল চীন। বেইজিংয়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজের সঙ্গে বৈঠককালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এই আহ্বান জানান।
বৈঠকে শি জিনপিং বলেন, “চীন ও ইউরোপের উচিত যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করে বৈশ্বিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের ধারা রক্ষা করা। একতরফা হুমকির মোকাবেলায় আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানালেন চীনা প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “বাণিজ্যযুদ্ধে কেউ জেতে না। বিশ্ব অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বড় ভূমিকা রয়েছে।”
চীন সবসময় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মেরু হিসেবে দেখেছে উল্লেখ করে শি বলেন, “ইউরোপের ঐক্য ও উন্নয়নে চীন দৃঢ়ভাবে পাশে আছে।”
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এ সময় বলেন, “চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আলোচনায় বসা জরুরি। ইউরোপ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভারসাম্যপূর্ণ করাও সময়ের দাবি।” তিনি জানান, ইইউ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যেও কিছু জটিলতা রয়েছে, যেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা দরকার।
ট্রাম্প সম্প্রতি ইউরোপসহ অনেক দেশের ওপর নতুন করে উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করলেও তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে চীনের পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে তা ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করায়, পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি সুবিধাজনক সমঝোতায় পৌঁছার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সানচেজ। যদিও ইইউ শুল্ক পাল্টা দিতে প্রস্তুত ছিল, তবে ট্রাম্পের সাময়িক ইউটার্নের ফলে আপাতত তারা আলোচনাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
এদিকে, চীনে এটি স্পেনের প্রধানমন্ত্রী সানচেজের গত কয়েক বছরে তৃতীয় সফর। এ সফরের মূল উদ্দেশ্য, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির পরিপ্রেক্ষিতে চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই চীনকে “সহযোগিতার অংশীদার, প্রতিযোগী এবং পদ্ধতিগত প্রতিদ্বন্দ্বী” হিসেবে বর্ণনা করেছে। সানচেজ বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি এই সম্পর্ক আরও গভীর করার সুযোগ রয়েছে। তবে ইউরোপীয় স্বার্থের প্রতি চীনের আরও সংবেদনশীল হওয়া জরুরি।”