বন্দুকের গুলিতে দিনে ১১৭ জনের মৃত্যু: যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার নিয়ে চীনের প্রতিবেদন

  © সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালজুড়েই মানবাধিকারের ব্যাপক বিপর্যয় ঘটেছে। বিশেষ করে সাধারণ মার্কিনিরা একধরনের মেরুকরণের মধ্যে পড়ে গেছেন। যেখানে তাদের কোনো প্রাধান্য নেই। সব প্রাধান্য যারা আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে উচ্চশ্রেণির—তাদের। গতকাল বুধবার চীনের স্টেট কাউন্সিল প্রকাশিত এক মানবাধিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, মানবাধিকার প্রসঙ্গে প্রকাশিত চীনা এই প্রতিবেদনের নাম ‘দ্য রিপোর্ট অন হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন ইন দ্য ইউএসএ ইন ২০২৩’। প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত তথ্য-উপাত্তগুলো উন্মুক্ত মার্কিন গণমাধ্যম ও গবেষণা থেকে নেওয়া হয়েছে। গবেষকের বলছেন, এই প্রতিবেদন মানবাধিকারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভণ্ডামি ও দ্বিমুখী অবস্থান উন্মোচনের সার্থক পরিশ্রম। 

বার্ষিক প্রতিবেদনটিতে মার্কিন সমাজে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের অবক্ষয়, বর্ণবাদের গভীর আঘাতের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য, নারী ও শিশুদের অধিকারের ক্রমবর্ধমান লঙ্ঘন এবং অনথিভুক্ত অভিবাসীদের ওপর মার্কিন আধিপত্যের কারণে সৃষ্ট মানবিক সংকটসহ ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। 
বিশদভাবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ৬৫৪টি বড় ধরনের বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে প্রায় ৪৩ হাজার জন মারা গেছে। সেই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ১১৭ জন করে মারা গেছে। এ ছাড়া, সরকার নাগরিকদের গোপনীয়তা পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে, বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পাসে নিজের মতপ্রকাশ করায় ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের শাস্তি বা বরখাস্তের ঘটনা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

বেইজিংয়ের এই মানবাধিকার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্যবাদ অনুসরণ এবং ক্ষমতার রাজনীতি অনুশীলন করেছে এবং এতে মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধগুলোতে মোট ৪৫ থেকে ৪৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মানবাধিকার সমস্যা বিশ্ব মানবাধিকারের সুস্থ বিকাশকে মারাত্মকভাবে হুমকি ও বাধাগ্রস্ত করে।

 

সর্বশেষ সংবাদ