ক্ষুধা-‍তৃষ্ণায় মৃত্যুর মুখোমুখি ৮ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি

ফিলিস্তিনি শিশুরা দক্ষিণ গাজার একটি স্কুলে খাবার নিচ্ছে
ফিলিস্তিনি শিশুরা দক্ষিণ গাজার একটি স্কুলে খাবার নিচ্ছে  © এএফপি

ইসরায়েলের ক্রমাগত আক্রমণ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে চলমান অবরোধের মধ্যে ৮ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গাজার মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।

তারা জানায়, ফিলিস্তিনের গাজা এবং পশ্চিম তীরে খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে দৈনিক ১৩শ ট্রাক খাদ্যের প্রয়োজন—যার মধ্যে ৬০০টি পশ্চিম তীরের জন্য এবং ৭০০টি গাজার জন্য। কিন্তু দখলদার বাহিনীর অবরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য না পৌঁছায় ব্যাপক খাদ্য ঘাটতিতে পরেছে ফিলিস্তিনের অধিবাসীরা।

মিডিয়া অফিস আরও উল্লেখ করে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে একটি সত্যিকারের দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছে এবং ১৪ জনকে তারা শহীদ করেছে যারা খাবার সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছিল। কোন ১৪ জন সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি তারা। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য সরবরাহ এবং খাদ্যবাহী ট্রাকগুলোতে ফিলিস্তিনে প্রবেশ করায় গুলি চালিয়ে বাধা দিচ্ছে। পানীয় জলের পাইপলাইন এবং পানির কূপ লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে বলেও জানায় তারা।

আরও পড়ুন: নিশ্চিত মৃত্যু থেকে যেভাবে বেঁচে ফিরেন আয়রন ডোম হ্যাক করা ওমর

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দখলদার ইসরায়েল দুর্ভিক্ষ এবং তৃষ্ণার বিপর্যস্ত পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী। তারা অনতিবিলম্বে এ হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানান।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল বহির্বিশ্বের সাথে সমস্ত ক্রসিং বন্ধ করে গাজার সম্পূর্ণ অবরোধ অব্যাহত রেখেছে। রাফাহ ক্রসিং দিয়ে আংশিকভাবে সীমিত সাহায্যে প্রবেশ করতে দিলেও হামাসের হামলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২৪ নভেম্বর থেকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজা উপত্যকায় প্রবেশের জন্য স্বল্প পরিমাণে মানবিক সাহায্যের অনুমতি দেয় তারা।

মিডিয়া অফিসের হিসেব মতে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ট্রাক প্রবেশ সীমিত করে দিয়েছে। তারপর থেকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ২৩৮৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং আহত হয়েছেন ৬০৩১৭ জন—যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। [সূত্র: ডেইলি সাবাহ]


সর্বশেষ সংবাদ