বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস্টবিনে পড়ে আছে পিএইচডির থিসিস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৩, ০৮:৪১ AM , আপডেট: ২৪ মে ২০২৩, ০৮:৪১ AM
সম্প্রতি কানাডার আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ডাস্টবিনে পিএইচ ডি থিসিস পড়ে থাকার অভিযোগই উঠেছে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পিছনে একটি ডাস্টবিনে দেখা গিয়েছে, অসংখ্য পিএইচ ডি থিসিস অবহেলায় পড়ে রয়েছে। সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে টুইটারে। যার পর নিন্দার ঝড় উঠেছে নেটদুনিয়ায়। কঠিন বিষয়ে গবেষণায় ঘাম ছুটে যায় গবেষকদের। দিনশেষে যদি দেখা যায় তা পড়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাস্টবিনে। তবে গবেষকের জন্য তার চেয়ে দুঃখের কিছু হতে পারে না। তবে এই অভিযোগ নিয়ে আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
ক্যাফিনেটেড পিজিয়ান নামের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, একটি বড়সড় ডাস্টবিনের মধ্যে পড়ে রয়েছে অসংখ্য লাল রঙের মোটা মোটা বই।
পিজিয়ানের দাবি, কানাডার এডমন্টন শহরে অবস্থিত আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছনে একটি ডাস্টবিনের ছবি এটি। লাল রঙে বাঁধাই স্বাস্থ্যবান বইগুলো আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা পড়া থিসিস পেপার। যা তৈরি করতে কালঘাম ছুটে যায় গবেষক শিক্ষার্থীদের, সেগুলোই ওভাবে অবহেলায় ফেলে দেওয়া হয়েছে।
ছবির ক্যাপশানে ক্যাফিনেটেড পিজিয়ান লিখেছেন, 'রাতে একটি লেকচার শেষে ফিরছিলাম। চোখে পড়ল আলবার্টা এডুকেশন সেন্টারের পিছনে একটি ডাস্টবিন। যা ভর্তি হয়ে আছে অসংখ্য থিসিস পেপারে। এই দৃশ্য আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার খারাপ অবস্থাকেই চিহ্নিত করে।'
আরও পড়ুন: ভারতের পিএসসির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম চারজনই ছাত্রী
এই পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বজ্ঞানহীনতায় ক্ষোভ জানিয়েছেন। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'থিসিস পেপার ছাপায় প্রচুর খরচ, এখনও মনে আছে। ক’দিন আগে আমার সুপাভাইজারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, আমার পিএইচডি থিসিস পেপার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয় হারিয়ে ফেলেছে। আমার কাছে অবশ্য পিডিএফ আছে।'