বধির হয়েও মেডিকেলে পড়ছেন রিজওয়ানা, হলেন ডব্লিউএইচও‘র পোস্টার গার্ল

মেডিকেল ছাত্রী রিজ়ওয়ানা
মেডিকেল ছাত্রী রিজ়ওয়ানা  © g

জন্ম থেকে বধির হয়েছে পড়ছেন ডাক্তারিতে। সেই মেডিকেল ছাত্রী রিজ়ওয়ানা এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পোস্টার গার্ল। প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এখন চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। এ কারণেই তাঁকে ডব্লিউএইচও’র এ সম্মান।

বিশ্ব শ্রবণ দিবস উপলক্ষে ডব্লিউএইচও পোস্টারে দেওয়া হয়েছে রিজ়ওয়ানার ছবি। এমবিবিএসের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী রিজ়ওয়ানা জন্ম থেকেই মুক ও বধির। সেই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

রিজ়ওয়ানার জন্মের পর বাবা-মা কিছু অস্বাভাবিকতা লক্ষ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। তখনই জানা যায়, তার শ্রবণশক্তি নেই। ছয় বছর বয়সে কানে ককলিয়া ইমপ্ল্যান্ট করা হয়। তারপরই শ্রবণশক্তি ফিরে পান তিনি। সঠিক সময়ে ধরা পড়েছিল বলেই রিজ়ওয়ানা সব প্রতিবন্ধকতা কাটাতে সফল হয়েছেন। বাবা-মায়েদের বেশি তৎপর হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হলে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরে আসতে পারবে।

ভারতের চিকিৎসক চিরজিত দত্ত বলেন, যে সব শিশু জন্ম থেকে কানে শুনতে পায় না, তাদের বুলিও ফোটে না। হঠাৎ জোরে শব্দ হলেও যদি চমকে না ওঠে, তা হলে বুঝতে হবে কানে কোনও সমস্যা আছে। শিশু অনেক বয়স পর্যন্ত কথা বলতে না শিখলেও সতর্ক হতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

ককলিয়া ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করে শ্রবণশক্তি পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। চিরজিত বলেন, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে দামি হল সময়। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ককলিয়া ইমপ্ল্যান্ট করেও শ্রবণশক্তি ফেরনো যায় না। তাই বাবা-মায়েদের সচেতন থাকতে হবে। এ অস্ত্রোপচার করতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগে। এ সার্জারি করাতে ৬ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। আনন্দবাজার।


সর্বশেষ সংবাদ