তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়াল

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়াল
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়াল  © সংগৃহীত

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৪৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্য তুরস্কেই নিহত মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৪০ হাজারের বেশি। লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় ও খাদ্যের সংকটে পড়েছে। অলৌকিকভাবে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনও জীবিত প্রাণ খুঁজে পাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্পের ১৩ দিন পরও তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকর্মীসহ বর্তমানে আড়াই লাখের বেশি কর্মী মাঠে কাজ করছে। 

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৪৫৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিকম্পের পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৬৪২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে সিরিয়া সরকার ও দেশটিতে জাতিসংঘের দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সিরিয়ায় মৃত মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ৮১৪ জন। 

প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে এত দিন ধরে আটকে থাকা সত্ত্বেও জীবিত লোকদের খুঁজে পাওয়ার আশা ছাড়া হয়নি। উদ্ধারকর্মীরা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। তবে গত কয়েক দিনে ধীরে ধীরে জীবিত উদ্ধারের সংখ্যা কমে এসেছে। এ সময় হাতে গোনা কিছু লোক জীবিত উদ্ধার হয়েছে।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে দুই দেশের ৪০ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। লাখেরও বেশি ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পটিকে গত ১০০ বছরের মধ্যে তুরস্কের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পে ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ। 

আরও পড়ুন: তুরস্ক ভূমিকম্পে মারা গিয়েছেন ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান আতসু

ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছিল তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা ও দেশটির অন্যান্য শহরের পাশাপাশি পুরো অঞ্চল-জুড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলেছে, স্থানীয় বাসিন্দারা প্রচণ্ড শীতের মধ্যে তুষারে ঢাকা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হয়েছেন ভূমিকম্পের তীব্রতায়। ভূমিকম্পে বহু ভবন ধসে পড়েছে আর এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপে বহু মানুষ আটকা পড়েছে বলেও খবর আসছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হতাই, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাটিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস-এই ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence