ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করলো জাপানের ফার্মাসিউটিক্যাল

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জাপানের তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি 'কিউডেঙ্গা' নামে একটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছে। এব্যাপারে জাপানে অবস্থানরত বাংলাদেশি গবেষক নাদিম মাহমুদ ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

পোস্টে তিনি লিখেছেন, তাকেদার উদ্ভাবিত 'কিউডেঙ্গা' ভ্যাকসিন ডেঙ্গুর সেরোটাইপগুলোর বিপরীতে দারুন কার্যকারিতা দেখিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শক্রমে তারা গত সাড়ে চার বছর ধরে ২৮ হাজার মানুষের মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করে বলছে, এই ভাকসিন প্রায় ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখাচ্ছে।

আরও পড়ুন: চবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করায় ডিনকে শোকজ

আরও জানা যায়, তাকেদার উদ্ভাবিত 'কিউডেঙ্গা'কে এরমধ্যে ইন্দোনেশিয়া সেই দেশের ৬ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের দেয়ার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে। ইউরোপের মেডিসিন সংস্থা এই ভ্যাকসিন অনুমোদনের জন্য গত মাসে সুপারিশ করেছে, যা খুব শিগগির ইউরোপীয় কমিশন ঘোষণা করতে পারে। যদিও কয়েক বছর আগে সানোফির উদ্ভাবিত ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন অ্যান্টিবডি তৈরিতে শরীরে জটিলতা তৈরি করেছিল, তবে তাকেদার এই ভাকসিনে সেই ধরনের কোন সমস্যা পাওয়া যায়নি বলে কোম্পানি দাবি করছে।

নাদিম তার পোস্টে আশাবাদ ব্যক্ত করে আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার ডেঙ্গুর এই ভ্যাকসিনটির প্রাপ্তি নিয়ে আলোচনা করতে পারে। যেহেতু ভ্যাকসিনের সকল ডেটা আমরা এরই মধ্যে প্রকাশিত একাডেমিক জার্নালগুলোতে দেখতে পাচ্ছি, এরপরও কিউডেঙ্গার ডেটাগুলো বিশেষজ্ঞরা নিখুঁত পর্যবেক্ষণের পর ভ্যাকসিন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিক। মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে আপাতত আমাদের সামনে ভ্যাকসিনই বড় সম্ভবনা।

উল্লেখ্য, তাকেদা একটি জাপানি বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, যার আংশিক আমেরিকান এবং ব্রিটিশদের সাথে জড়িত। এটি এশিয়ার বৃহত্তম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এবং আয়ের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ 20টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির মধ্যে একটি। সংস্থাটি অনকোলজি, বিরল রোগ, নিউরোসায়েন্স, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি, প্লাজমা থেকে প্রাপ্ত থেরাপি এবং ভ্যাকসিন ইত্যাদির উপর কাজ করে থাকে।


সর্বশেষ সংবাদ