‘হামজা’ খোঁজার পাশাপাশি স্থায়ী সমাধানেও আহ্বান ক্রীড়া উপদেষ্টার

গণমাধ্যমে কথা বলছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া
গণমাধ্যমে কথা বলছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া   © সংগৃহীত

বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ মাতানো হামজা দেওয়ান চৌধুরী। এই ফুটবলারের আগমনে ফুটবলের সঙ্গে সঙ্গে পুরো ক্রীড়াঙ্গনের আবহই পাল্টেছে। সম্প্রতি সব ফেডারেশনকে যোগ্যতাসম্পন্ন প্রবাসী ক্রীড়াবিদ চিহ্নিত করে দেশের হয়ে খেলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে চিঠি প্রদান করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। 

প্রবাসীদের বাংলাদেশে খেলানোর পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের জন্য তৃণমূল থেকে খেলোয়াড় তুলে এনে প্রশিক্ষিত করার বিকল্প দেখছেন না যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও। শনিবার (১৯ এপ্রিল) পল্টনস্থ শহীদ নূর হোসেন ভলিবল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবস টুর্নামেন্টে এ বিষয়ে আহ্বান জানান তিনি।

ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের বংশোদ্ভুত অনেকেই পৃথিবীর নানান জায়গায় ক্রীড়াঙ্গনে ভালো করছে। হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলছে, সামিত সোম আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এটা শুধু ফুটবল নয়, আরো অনেক খেলাতেই এই সুযোগ রয়েছে। তবে এটা কোন স্থায়ী সমাধান নয়। আমাদের খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে। প্রান্তিক পর্যায় থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে ট্রেনিং করিয়ে প্রস্তুত করাটাই হচ্ছে, স্থায়ী সমাধান। তবে আমরা অবশ্যই বাংলাদেশে বংশোদ্ভুত যারা ভালো করছেন, তাদেরকে বাংলাদেশে আনার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না।’ 

সার্চ কমিটির কার্যক্রম নিয়ে উপদষ্টো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব ফেডারেশন পুর্নগঠন। তবে অবশ্যই সেখানে সতর্কতা জরুরি। বিগত সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ফেডারেশনগুলোতে ছিলেন। এ কারণে যা হয়েছে যদি শুটিং ফেডারেশনের কথাই বলি, ফেডারেশনের অস্ত্র জুলাই গণঅভ্যূথানে দায়িত্বশীলদের সহায়তায় মানুষের উপর ব্যবহৃত হয়েছে। আমরা সার্চ কমিটিকে তাগাদা দিচ্ছি যেন দ্রুত হয়। এতে স্পোর্টসে প্রাণ ফিরবে। আমরা সার্চ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেব।’

স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলোকেও জোরদার করার ভাবনা প্রসঙ্গে উপদেষ্টার মন্তব্য, ‘ফেডারেশনের বাইরে জেলা-বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন হচ্ছে। বিগত সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ছিল তারা খেলাধূলা সেভাবে আয়োজন করত না। আমরা এবার স্পোর্টস সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিয়ে সুযোগ করে দিয়েছি কমিটিতে। যাতে করে লোকালি স্পোর্টস করতে পারে। আমাদের সহযোগিতা থাকবে।’ 

কয়েক বছর আগে ভলিবল ও কাবাডি স্টেডিয়াম সংস্কার করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। তবে আন্তর্জাতিক খেলা আয়োজনের উদ্দেশে করলেও দুই খেলার কোনোটি এখানে করা সম্ভব হয় না। ফলে কাবাডিকে ভলিবলে আর ভলিবলকে মিরপুর ইনডোরে ছুটতে হয়। 

এ অসঙ্গতি নিয়ে পরিষদের চেয়ারম্যানের বক্তব্য, ‘এটা যখন প্রথম করেছে ঠিক মতো করা হলে এই সমস্যা হতো না। আজ ফেডারেশনের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরবর্তী অর্থ বছরে ইনডোরের সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে, যাতে এখানেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা যায়।’


সর্বশেষ সংবাদ