নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ এদেশের শিক্ষায় শিক্ষিত 

নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের শপথ এবং লেখক
নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের শপথ এবং লেখক  © সম্পাদিত

সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুজন তরুণ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে দোভাষীর সহযোগিতা নিয়ে যে কথোপকথন হয়েছে সেটি ভাইরাল হয়েছে বা অনেকে ট্রল করছেন বলা যায়। দোভাষীর সহযোগিতায় ভিন্ন দেশের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা নতুন কিছু নয়। তবে ট্রল করার কারণ বোধ হয় তাঁরা মাত্র ৩৬ দিনের মধ্যে একটি স্বৈরশাসন পতনের সফল আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে তরুণদের আইকনে পরিণত হয়েছেন এজন্য।

অন্যদিকে উপদেষ্টাদ্বয় সম্প্রতি উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেছেন তাই তাঁদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা কম আছে বলে মনে করে নেটিজেনরা মেনে নিতে পারছেন না। আমাদের অধিকাংশ উচ্চ শিক্ষিতেরই ইংরেজি ভাষার দক্ষতা নেই বললেই চলে আর নাহিদ ইসলাম বা আসিফ মাহমুদ এদেশের শিক্ষায় শিক্ষিত বা আমাদের পরিবেশেরই দুজন সদস্য। একজন মানুষ সব দিক দিয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন না। তাঁদের যদি প্রকৃতপক্ষে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা কম থাকে সেজন্য তাঁরা নয় বরং আমাদের পরিবেশ বা শিক্ষাব্যবস্থা তার জন্য দায়ী, যেটির ইতিবাচক পরিবর্তনের পদক্ষেপ নেওয়া সময়ের দাবি।

আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগ থেকে সদ্য মাস্টার্স ভাইভা দিলাম-ফলাফল পেতে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এরই মধ্যে একটি স্থানীয় এনজিও যাদের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল এক বন্ধুর মাধ্যমে তারা তাদের প্রশিক্ষণ প্রকল্পের ম্যাটেরিয়ালগুলো ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ বা বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ ও নিউজিল্যান্ড থেকে যে প্রশিক্ষক ট্রিশ সামার ফিল্ড আসবেন তাঁর সার্বক্ষণিক সহযোগি অর্থাৎ দোভাষী কাম-ট্যুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করতে হবে এমন দায়িত্ব দেয় আমাকে।

আমার মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করছে যদিও আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই মনে হত কর্মজীবনে শুধু আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে বিদেশিদের সঙ্গে কাজ করতে হবে, যেটি বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনায় অলীক কল্পনামাত্র।

দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা শুরু করলাম প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরুর দিনক্ষণ এগিয়ে আসছে এরই মধ্যে ইসলামিক রিলিফ, ইউকে নামক একটি আইএনজিও অর্থাৎ আর্ন্তজাতিক এনজিওর ঢাকার বারিধারা অফিস থেকে রুমেনা নামক একজন গণসংযোগ কর্মকর্তা ফোন করেন তাঁদের অফিসে গিয়ে কিভাবে তাঁদের সঙ্গে কাজ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতে কারণ, তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে আগেই আবেদন করেছিলাম।

আমার ধারণা ছিল একটি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করলে সেই চাকরি ছাড়া যায় না, তাই ওই জনসংযোগ কর্মকর্তাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম অলরেডি একটি স্থানীয় এনজিওকে কমিটমেন্ট দিয়েছি তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য।

আমি নিশ্চিত ওই কর্মকর্তা আমাকে বোকা বলেই ধরে নিয়েছেন যদিও পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে ১০/১২টি কর্মস্থল বদল করেছি। ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালা থেকে যে বেতন পেয়েছিলাম তা দিয়ে অফিসে যাওয়া আসার খরচও হয়নি। যদিও নিয়োগ কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন চলতে পারবেন এই বেতন দিয়ে। যাকে এখনও প্রতারক হিসেবেই কাউন্ট করি। যদিও তার সঙ্গে এখন কোনো ধরনের যোগাযোগ নেই।

ইতোমধ্যে প্রশিক্ষক ট্রিশ সামার ফিল্ড তার কর্মস্থল ভিয়েতনাম থেকে উড়ে এসে ঢাকা হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলেন। আমরা ট্রিশকে উষ্ণ সম্বর্ধনা দিয়ে বনানীর শ্রীলংকান হোটেল রয়েল পার্কে রাখার ব্যবস্থা করলাম।

ট্রিশের সঙ্গে টাইম ঠিক হলো আমি প্রতিদিন সকাল ৮ টায় একটি প্রাইভেট কার নিয়ে উত্তরা থেকে এসে ট্রিশকে নিয়ে মোহাম্মদপুর অফিসে যাব এবং তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক থাকব যেকোনো সহযোগিতার জন্য। প্রশিক্ষণ শেষে তাকে আমি আবার বনানী রেখে উত্তরা চলে যাব। এভাবে চলতে থাকল যদিও একদিন আমার ২ মিনিট দেরি হলে তিনি নিজেই গাড়ি ঠিক করে চলে গিয়েছিলে অফিসে।

একদিন বনানী থেকে মোহাম্মদপুর যাওয়ার সময় তিনি বললেন হেলাল ভাই, ‘I want to take some curry powder from your country।’ আমি উত্তর দেওয়ার আগেই আমাদের গাড়ীচালক বললেন It’s not possible on the way। আমি চালকের উত্তরে অবাক হয়ে গেলাম। প্রসঙ্গত, ট্রিশ আমাকে হেলাল ভাই বলতেন কারণ তার ১৮ দিনের বাংলাদেশ সফরে আমি তাকে কিছু বাংলা শেখাতে পেরেছিলাম।

তারপর থেকে ট্রিশ এবং চালক ঢাকা শহরের বিভিন্ন বিষয়ে অনবরত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন আর আমি শ্রোতার ভূমিকায় থেকে মাঝে মাঝে একটু কথা বলছিলাম। এবার অফিসে পৌছানোর পর চালককে লেখাপড়া কতটুকু করেছেন জিজ্ঞাসা করলে চালক যে উত্তর দিলেন তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। আমি মারাত্মকভাবে অবাক হয়েছিলাম কারণ তিনি যে জবাব দিয়েছিলেন তা হলো তিনি চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত কোনো রকম বিদ্যালয়ে গিয়েছেন-যেটাকে বলে নামকাওয়াস্তে।

তিনি বসবাস করছেন বস্তি এলাকায় তার বেড়ে ওঠাও বস্তি এলাকায়। তার সম্পর্কে জানার আরো আগ্রহ বেড়ে গেল। জানতে চাইলাম ইংরেজি কিভাবে শিখলেন? তিনি বললেন, হলুদ ট্যাক্সি চালাই উত্তরা, বনানী, গুলশান এলাকায় আর বেশির ভাগ বিদেশি যাত্রীদের গাড়ীতে উঠাই। তাঁরা গাড়ীর মধ্যে বিভিন্ন আলোচনা করেন আমি তাঁদের আলোচনা শুনি এবং মাঝে মাঝে দুই একটা উত্তর দিই-এভাবে আমি ইংরেজি শিখেছি। কিন্তু আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অধিকাংশ টিচারও ক্লাসে অনবরত ইংরেজি কথা বলার পরিবেশ তৈরি করেন না,  বলেন না বা বলতে পারেন না। তাহলে আমাদের শিক্ষার্থীরা কিভাবে শিখবেন। কেউ কেউ শিখতে চাইলে সেটি তাদের ব্যক্তি উদ্যোগে শিখতে হয়। আবার ক্লাসে বা পরিচিত জনদের মাঝে ইংরেজি অনুশীলনের উদ্দেশ্যে বললে উপহাস করা হয়।

আরেকটি বিষয় হলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আগে রোকেয়া স্মরণীতে আমার বাসা ছিল। রোকেয়া স্মরণী দিয়ে দেখতাম লাল সবুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ী চলতে এবং আমার মনের মধ্যে তীব্র বাসনা জাগতো এই গাড়ীর লিগ্যাল যাত্রী হওয়ার জন্য। পরবর্তীতে অবশ্য উভয় গাড়ীর লিগ্যাল যাত্রী হওয়ার সুযোগ হয়।

একদিন সবুজ গাড়ীতে দেখলাম লাল গাড়ীর ইংরেজি বিভাগের একজন শিক্ষার্থী ও সবুজ গাড়ীর বাংলা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী দুজন বন্ধু আমার সামনের আসনে বসে ব্যক্তিগত, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইংরেজিতে কথা বলছেন। আমি লক্ষ্য করছিলাম যিনি বাংলার শিক্ষার্থী তিনি ইংরেজিতে তুলনামূলক ভাল পারদর্শী। লাল গাড়ী হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সবুজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ী।

অন্য আরেকটি উদাহরণ দিয়ে শেষ করতে চাই সেটি হলো আমি কর্মজীবনে শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের অধীনে কিছুদিন মাধ্যমিক পর্যায়ের ইংরেজি টিচারদের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলাম। আমার পদবী ছিল “Resource Teacher-English । মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের বলা হতো আপনারা ট্রেইনার নয়, সহকর্মী মুডে থাকবেন তা নাহলে টিচাররা অস্বস্তিবোধ করতে পারেন অর্থাৎ ছদ্মবেশী প্রশিক্ষক।

যাহোক, অভিজ্ঞতায় যা দেখলাম আমাদের টিচাররা ইংরেজি ক্লাসেই ইংরেজিতে কথা বলতে স্বস্তিবোধ করেন না, অভ্যস্ত নন অথবা পারদর্শী নন। সেটি প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা কোনো পর্যায়-ই নয়। যে কয়েকজন আছেন তা ব্যতিক্রম।

প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আমি নবম বা দশম কোনো একটি শ্রেণির ইংরেজি ক্লাসে উপস্থিত। ক্লাসের ইংরেজি টিচার আমার উপস্থিতিতে একজন শিক্ষার্থীকে বলছেন ‘‘এই তুমি নিজের সম্বন্ধে ইংরেজিতে কিছু ব ‘’। কিন্তু শিক্ষার্থী বলতে পারছে না বা অস্বস্তিবোধ করছে। তখন আমি টিচারকে বললাম Sir first make the environment telling him. please tell me something about yourself then learner would be inspired to speak in English|

যাহোক, টিচার কিছুটা অস্বস্তিবোধ করলেও সেটি করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন ইংরেজি লেখা-পড়ার পাশাপাশি বলা এবং শুনে বুঝার দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

অর্থাৎ ভাষার যে চারটি দক্ষতা আছে তা আমাদের দেশে অনেকটা reading, writing-এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সেটিকে উন্নীত করে প্রকৃতপক্ষে ভাষার দক্ষতা বলতে যে ৪টি দক্ষতা listeing, speaking, reading and writing বোঝায় তা অর্জন করতে হলে কিছু করণীয় আছে। করণীয়গুলো হলো:

ক. শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ভাষা হোক বা আরবি ভাষা হোক বলার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশের শ্রেণিভিত্তিক যে কক্ষ আছে সেগুলোকে বিষয়ভিত্তিক; যেমন ইংরেজি, আরবি, গণিত, বিজ্ঞাণ, কুরআন প্রত্যেক বিষয়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কক্ষ তৈরি করতে হবে। এবং উক্ত কক্ষগুলোকে নির্দিষ্ট বিষয় বা ভাষার বিভিন্ন শ্লোক বা সূত্র লিখে সজ্জিত করতে হবে। যেন শিক্ষার্থী উক্ত রুমে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই সেই বিষয়ে প্রবেশ করতে পারে।

যেমন, কুরআনের কক্ষগুলোতে কুরআনে মানবসমাজের বর্তমান বিভিন্ন সমস্যার সমাধান রয়েছে এমন আয়াত লেখা থাকবে। আরবি কক্ষগুলোতে আহমদ শওকী, ইমরুল কায়েসের মত বিভিন্ন লেখকদের লেখা থাকবে দেওয়াল গুলোতে। তেমনই ইংরেজি কক্ষে সেক্সপিয়ার, মিল্টন, ওয়াডসওয়ার্থ ইত্যাদির বরেণ্য লেখকের লেখা থাকবে। বিজ্ঞানকক্ষে বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার থাকবে।

খ. প্রত্যেক বিষয়ের জন্যই ইংরেজি ভাষায় বা আরবি ভাষায় দক্ষ এমন টিচার নিয়োগ দিতে হবে।

গ. মুখস্তবিদ্যা নির্ভর রচনা, দরখাস্ত, চিঠি শেখানো বন্ধ করে শিক্ষার্থীকে তার বাস্তবজীবনে প্রায়োগিক বা পরিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী করে তুলতে হবে যেন জীবনঘনিষ্ট ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে।

ঘ. কমপক্ষে সাগর পাড়ের শিক্ষার্থীদের সাগরের আর পাহাড়ী শিক্ষার্থীদের পাহাড়ের রচনা শেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে। বিপরীতে তারা বাজার থেকে গাইড বই কিনে মুখস্ত করবে ভিতরের বিষয়গুলো না বুঝেই।

ঙ. গাইড বই নিষিদ্ধ করে প্রকৃতপক্ষে ইংরেজি ভাষা বা আরবি ভাষায় দক্ষ এমন প্রশিক্ষক দিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে টিচারদের আগে দক্ষ করে তুলতে হবে।

চ. প্রত্যেক শ্রেণিতে কমপক্ষে প্রথম ৬ মাস বা একটি নির্দিষ্ট সময় শুধু ইংরেজি বা আরবি ভাষায় ক্লাস পরিচালনা করতে হবে। সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের আবাসিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে রাখতে হবে।

একটি বিষয় বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, আমাদের দেশের প্রবাসী শ্রমিকেরা বেশির ভাগ মধ্যপ্রাচ্যে যান। সেখানে আরবি ভাষায় কথা বলতে হয়, তবে অনেকেই আরবি ভাষা তেমন শিখে যায় না। কিন্তু বিদেশে গিয়ে ওই দেশের ভাষায় কথা বলতে বাধ্য হয় বা একটি পরিবেশ পায়। ফলে বলতে বলতে ও শুনতে শুনতে তারা বিদেশি ভাষা মাতৃভাষার মতোই শিখে যায়  এক বা দুই মাস বা সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে।

তারা এই দেশ থেকে আরবি বলা শিখে যেতে পারে না, কারণ এই দেশে ইংরেজি বলা শেখানোর জন্য কিছু লোক পাওয়া গেলেও আরবি শেখানোর লোক পাওয়া যায় না বললেই চলে।

সুতরাং উপর্যুক্ত করণীয় অনুস্বরণ করলে আমরা শুধু ইংরেজি বা আরবিতেই পারদর্শী হবো না। বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক পারদর্শী তৈরি করতে পারব। আমাদের ব্যবস্থাপনা থেকে ও বিশ্বায়নের যুগে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ সারাবিশ্বে আমাদের শিক্ষার্থীরা আগামীতে নেতৃত্ব দিতে পারবে ইনশাআল্লাহ।

লেখক: এমফিল গবেষক(এবিডি), আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ই-মেইল-alhelaljudu@gmail.com


সর্বশেষ সংবাদ