অন্যায়ভাবে ক্রিকেটারদের নারীবিদ্বেষী বা সাম্প্রদায়িক বানাবেন না
- দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
- প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫ AM , আপডেট: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৪:১০ PM

আমাদের ক্রিকেটাররা হয়তো আপনাদের মন ভরানোর মত করে জয় এনে দিতে পারে না, হয়তো রোজ রোজ সেঞ্চুরি করতে পারে না। সে জন্য তাদের সমালোচনা করুন। কিন্তু একেবারেই অন্যায়ভাবে এই মানুষগুলোকে নারীবিদ্বেষী বা সাম্প্রদায়িক বানাবেন না। আমি ১৬-১৭ বছর ধরে এই ক্রিকেটারদের খুব কাছ থেকে দেখেছি। যাদেরকে আপনারা অভিযুক্ত করেন, এরা যে কতটা অসাম্প্রদায়িক এবং পরমত সহিষ্ণু, সেটা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না।
জাতীয় দলে লিটন আছে, সৌম্য আছে। কোথাও ডিনারের দাওয়াত থাকলে এই রিয়াদ, মুশফিকই আগে আয়োজকদের বলেন, যেন বিফের বিকল্প কিছু থাকে; যেন সৌম্যদের টেবিলে বিফ না যায়। ছোটরা অনেকসময় মজা করে। রিয়াদ ধমক দিয়ে বলেন, ‘ধর্ম আর খাবার নিয়ে রসিকতা করবি না।’
এই জেসি, আমাদের বন্ধুর মতো। আমি জেসির সাথে কাজও করেছি। আমি জানি, ওরা চলার পথে রিয়াদ, মুশফিক, তামিম, সাকিবদের কতটা সমর্থন পেয়েছেন। কেবল ব্যাট কিনে দেওয়ার মত ব্যাপার নয়। জেসিদের ক্রিকেট ডেভেলপমেন্টেও এরা অবদান রেখেছেন। এদিনের ঘটনাটা মোটেও নারী বিদ্বেষী ছিলো না। ক্রিকেটাররা জেসির আম্পায়ারিং নিয়ে কোনো আপত্তিই করেননি। করার কারণও নেই। জেসি যখন প্রথম ম্যাচ পরিচালনা করতে নামেন, ম্যাচশেষে এই রিয়াদ আর মুশফিকই তাদের অভিবাদন জানিয়েছিলেন।
এদিন দু দলের কর্মকর্তারা ‘অনভিজ্ঞ’ বলে জেসিকে নিয়ে আপত্তি করেছিলেন। জেসির প্রথম সিজন। প্রথম সিজনে মুকুল ভাই, সৈকত ভাইকেও এমন আপত্তি সহ্য করতে হয়েছে। এখানে নারী কোনো বিষয় না।
আবারও বলি, প্রগতিশীল হতে গিয়ে ধর্মবিদ্বেষী হবেন না। রিয়াদ, মুশফিক ধর্মচর্চা করেন বলে তাদেরকে ভিলেন বানানোর চেষ্টা করবেন না। জেনে রাখবেন, ওরা সবার আগে ভালো মানুষ।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী