প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ যুক্তিহীন, দ্রুত চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ফটো

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্যানেলের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের দাবি যুক্তিহীন উল্লেখ করে দ্রুত চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ১৬তম নিবন্ধনধারীরা।

সোমবার (১৮ জুলাই) এই দাবিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

নিবন্ধনধারীদের পক্ষে আল মামুন, মো. শাকিল আহমেদ ও মো. সাব্বির হোসেন এই স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে তারা জানান, "বর্তমান সময়ে মেধা ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগে সর্বস্তরের মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। শুধুমাত্র গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেই এক সময় শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা গেছে। কিন্তু বর্তমানে প্রিলি-রিটেন ও ভাইভার মাধ্যমে মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

মেধাভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগে পুরো জাতি সন্তুষ্ট। নিবন্ধনধারী এবং নন- নিবন্ধনধারীর মধ্যে এতোটুকুই বৈষম্য যে শুধুমাত্র স্কুল-কলেজের শিক্ষক হওয়ার জন্য মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন নিবন্ধন পাস সনদধারীরা। নন-নিবন্ধনধারীরা এই সুযোগ পান না। আগের তুলনায় এখন প্রায় চার থেকে পাঁচ ভাগের এক ভাগ প্রিলিমিনারি, রিটেন এবং ভাইভাতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর সনদ প্রাপ্ত হয়ে থাকেন যা বর্তমান সময়ের জন্য বিশেষ উপযোগী পদক্ষেপ।

প্রথম নিবন্ধন হতে ১২তম নিবন্ধন পর্যন্ত সনদধারী প্রায় দশটি বছর কমিটির মাধ্যমে স্কুল কলেজে যোগদান করেছেন এরপর প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক নিয়োগের নিমিত্তে পরপর তিনটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ম্যাচিং প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ নম্বরধারীদের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়ে জাতিকে উপযুক্ত শিক্ষক উপহার দিচ্ছেন। ২০১৮ সালের মধ্যে যারা সনদধারী হয়েছেন তারা শিক্ষক নিয়োগের প্রতিটি গণবিজ্ঞপ্তিতে অংশগ্রহন করেছেন এবং তাদের সনদের আজীবন মেয়াদ থাকার কারণে আগামীতে সকল শিক্ষক নিয়োগের আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। পক্ষান্তরে ২০১৮ সালের পর যারা সনদধারী হচ্ছেন তারা নির্ধারিত ৩৫ বছর হওয়ার কারণে ঝরে যাচ্ছে।

দীর্ঘ ১৭ বছর সনদধারী হয়ে আজীবন মেয়াদ থাকা সত্ত্বেঅ যারা শিক্ষক হতে পারেনি তাঁরা কখনো শিক্ষক হওয়ার  অযৌক্তিক দাবি নিয়ে শিক্ষক হতে পারে না। যত মূল্যবান ধাতব পদার্থহোক না কেন দীর্ঘ ১৭ বছর ফেলে রাখলে সেটি মরিচা পরবেই এবং কার্যকারিতাও হারাবে। ঐ সকল অনুপযুক্ত শিক্ষক জাতিকে উপহার দেওয়া যাবে না।

১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীরা পূর্ণাঙ্গ গণবিজ্ঞপ্তির সুযোগ পায়নি তবুও তারা কখনো প্যানলে নিয়োগ চায় না। তারা চায় শিক্ষাক্ষেত্রে মেধাতালিকায় শিক্ষক নিয়োগ হোক। সকল নিবন্ধনধারীরা শিক্ষক নয়, যাহা নিয়োগে প্রশংসা থেকে শিক্ষার মান ক্ষুন্ন করে সমালোচনার দাবি রাখে। পক্ষান্তরে ১১৫৬ জন শিক্ষক জাল সনদ শনাক্ত করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়েছে। প্যানেল নিয়োগ দাবিদের মধ্যে আরো ভুয়া সনদধারী আছে যারা নিয়োগ পেলে জাতিকে কলঙ্কিত করবে।

আমাদের জানামতে শিক্ষক নিবন্ধনের কোন নীতিমালায় সকল সনদধারীদের চাকরি নিশ্চিত করা হবে মর্মে উল্লেখ নাই। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা না থাকায় তাদের এই অযৌক্তিক আন্দোলন সরকার বিরোধী এবং সরকারের মান ক্ষুন্ন করছে। অন্তত শিক্ষক হিসাবে মেধার স্বাক্ষর দিয়ে মেধাতালিকায় জাতিকে উপযুক্ত শিক্ষক উপহার দেওয়ার গ্রহনযোগ্য চলমান নীতিটিই বজায় রাখা হোক।

নির্ধারিত নীতিমালার ক্ষমতাবলে চলমান গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল আদালতের গ্রহনযোগ্যতা মর্মে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা এনটিআরসিএ। যার ফলে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণে প্রকৃত মেধাবী শিক্ষক সমাজ গড়ে উঠবে । এই অবস্থায় ই-রিকুইজিশন নেওয়া শেষ হওয়া মাত্রই বয়স বিবেচনা করে কমপক্ষে দুই বছর অতিরিক্ত আবেদনের সুযোগ দিয়ে জাতিকে উপযুক্ত মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।"


সর্বশেষ সংবাদ