বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি চান না ১৮তম নিবন্ধনের ভাইভা প্রার্থীরা, মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি

শিক্ষা মন্ত্রণালয়
শিক্ষা মন্ত্রণালয়  © ফাইল ছবি

কোনো বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা প্রার্থীরা। সম্প্রতি ভাইভা প্রার্থীদের পক্ষে ৬ জন এ স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘১৮তম নিবন্ধনের ভাইভা ভাইভা চলমান। ১-১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা ১৮তম নিবন্ধনের কার্যক্রমের শুরু থেকেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছেন। ইতোপূর্বে তারা এনটিআরসিএ কার্যালয় তালাবন্ধসহ নানা কার্যকলাপ করেছে। উচ্চ আদালত ও এনটিআরসিএ কর্তৃক তারা একাধিকবার অবৈধ ঘোষিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।’

১৮তম নিবন্ধনধারীরা জানান, ‘বর্তমান পরিস্থিতে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে জোরপূর্বক অবৈধ নিয়োগ নিতে চাচ্ছেন ১-১২তম নিবন্ধনধারীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগের আশ্বাস পেয়েছেন বলে খবর রটেছে। তারা যদি ৪০-৫০ বছর বয়সে নিয়োগ পেয়ে যায় তাহলে ১৮তম ৮৩ হাজার ভাইভা প্রার্থী এবং ১৯তম নিবন্ধনের আশায় অপেক্ষমাণ লাখ লাখ বেকার তরুণ-তরুণীদের সাথে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি হবে। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘১-১২তম নিবন্ধনধারীরা খুব কম নম্বরপ্রাপ্ত এবং তাদের সনদের মেয়াদ ৩-৫ বছর। যা অনেক আগেই উত্তীর্ণ। এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ৩৫ ঊর্ধ্ব প্রার্থীদের সুপারিশ অযোগ্য। তারা ১০-২০ বছর বা তারও অধিক সময় ধরে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে দূরে আছেন। তাই তাদের নিয়োগ শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করবে। তাই তাদের জন্য বিশেষ কোনো গণবিজ্ঞপ্তি আমরা চাই না।

স্মারকলিপিতে চার দফা দাবি জানান ১৮তম নিবন্ধনধারীরা। সেগুলো হলো-

১-১২তম নিবন্ধনধারীদের অবৈধ নিয়োগ ও বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি না দেওয়া, নীতিমালা অনুযায়ী
১৮তমদের নিয়োগ সম্পন্ন করা; সর্বশেষ বিধিমালা মোতাবেক ৯৩% মেধা ও ৭% কোটায় নিয়োগ দেওয়া; দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া ও অটো এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করা এবং ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির আগে বদলি কার্যক্রম চালু না করা।


সর্বশেষ সংবাদ