১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে তথ্য নেই এনটিআরসিএ’র কাছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫২ AM , আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৭ AM
১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশিত হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারছে না বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। চলতি মাসে এ নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে কি না সে বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
গতকাল বুধবার এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ১৯তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে কয়েকটি বিষয়ে পরিবর্তন আসবে। এ বিষয়ে একটি সভা হয়েছে। তবে বিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশিত হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাব্য কোনো সময়ও জানাতে চাচ্ছেন না সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পূর্বে আমাদের বেশ কিছু কাজ রয়েছে। নিবন্ধন নীতিমালায় কিছু বিষয়ে সংশোধন করা হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশিত হবে সেটি নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবো।’
আরও পড়ুন: আরও এক লাখ শিক্ষকের ইএফটিতে বেতন আগামী সপ্তাহে
জানা গেছে, শিক্ষক নিবন্ধন সনদ অর্জন করার পরও প্রার্থীরা বেকার থাকছেন। বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এ আলোচনায় পদ ফাঁকা না থাকলেও নিবন্ধন পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। সেজন্য যে সকল বিষয়ে শূন্য পদ থাকবে না সে সকল বিষয়ের নিবন্ধন পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএ’র পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার এক কর্মকর্তা জানান, ‘শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাই যেন চাকরি পায়, সে বিষয়ে কাজ করছে সরকার। আমরাও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি ১৯তম নিবন্ধন থেকে আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবো। চলতি জানুয়ারি মাসে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।’
প্রসঙ্গত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা অর্জন করতে হয় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ১৮টি নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনটিআরসিএ। এই নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে এক লাখের বেশি প্রার্থীকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।