৯৬৭৩৬ পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫৬ PM , আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫৭ PM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। রবিবার (৩১ মার্চ) বিকেলে এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সংস্থাটি।
স্কুল অ্যান্ড কলেজে পদ সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৮৬, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
গণবিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এনটিআরসিএ জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়, পদ ও প্রতিষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনধারী হতে হবে; এনটিআরসিএ কর্তৃক প্রকাশিত সম্মিলিত মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ ও প্রত্যয়ন বিধিমালা-২০০৬ (সংশোধিত ২০১৫) এর বিধি ১০ (১) মোতাবেক বৈধ সনদধারী হতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হবে; (কাম্য শিক্ষা যোগ্যতার বিবরণ দেখার জন্য NTRCA-এর ওয়েবসাইটের "পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি" নামক সেবা বক্সে Click করতে হবে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জারিকৃত সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রার্থীকে আবশ্যিকভাবে কেবলমাত্র তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট পদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে আবেদন করলে এবং তদানুযায়ী নিয়োগ সুপারিশ প্রাপ্ত হলে উক্ত সুপারিশ বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আবেদনকারীর বয়স: প্রার্থীর বয়স ০১ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি: তারিখে ৩৫ বছর বা তার কম হতে হবে।
প্রত্যেক আবেদনকারী নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী একই পর্যায়ে (স্কুল/কলেজ) একটি মাত্র আবেদন করতে পারবেন। একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০ (চল্লিশ) টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের Choice (পছন্দ) দিতে পারবেন। উক্ত Choice প্রদানের পর কোন প্রার্থী যদি তার Choice বহির্ভূত দেশের যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতে ইচ্ছুক হন তবে তাকে e-Application ফরমে প্রদর্শিত Other Option নামক বক্সে Yes Click করতে হবে। যদি ইচ্ছুক না হন তবে No Click করতে হবে।
প্রার্থীর আবেদনে বর্ণিত Choice এর প্রেক্ষিতে প্রার্থীর পদভিত্তিক মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুসারে ফলাফল Process করা হবে। যদি কোন প্রার্থী তার Choice অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত না হন এবং তিনি যদি Other Option এ Yes Click করেন সেক্ষেত্রে শূন্য পদ থাকা সাপেক্ষে প্রার্থীর মেধাক্রম বিবেচনা করে দেশের যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনের নিমিত্ত ফলাফল Process করা হবে।
প্রতিষ্ঠান choice প্রদানের ক্ষেত্রে প্রার্থীকে সর্তকতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। যে সকল প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শূন্যপদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই সে সকল প্রতিষ্ঠানের এমপিও পরবর্তীতে / ভবিষ্যতে বাতিল হতে পারে বিধায় বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত যে সকল এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান শূন্য পদের বিপরীতে কাম্য সংখ্যক শিক্ষার্থী নেই সে সকল পদে পরবর্তীতে/ভবিষ্যতে নিয়োগ সুপারিশ প্রদান করা যাবে না।
কোন প্রার্থীর যদি স্কুল ও কলেজ উভয় পর্যায়ের সনদ থাকে এবং তিনি যদি উভয় পর্যায়ের পদে আবেদন করেন তবে প্রথমে তাকে কলেজ পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত না হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে। কলেজ পর্যায়ে নির্বাচিত হলে স্কুল পর্যায়ে বিবেচনা করা হবে না।
সকল আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে নির্ধারিত ১০০০.০০ (এক হাজার) টাকা ফি প্রদান করতে হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ না করলে আবেদনটি বাতিল বলে গণ্য হবে।
আবেদন ফি প্রদানের তারিখ ও সময়: (ক) e Application পূরণ ও ফি জমা প্রদান শুরুর তারিখ ও সময় 17/04/2024 খ্রি : বেলা ১২.০০ ঘটিকা।
e Application জমা প্রদানের শেষ তারিখ ও সময় ০৯/০৫/ 2024 খ্রি: রাত ১২.০০ ঘটিকা। উক্ত তারিখ রাত ১২.০০ ঘটিকা থেকে শুধু Application ID প্রাপ্ত প্রার্থীগণ পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অর্থাৎ ১০/০৫/২০১৪ খ্রি: তারিখ রাত ১২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত SMS এর মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।
অনলাইনে আবেদন ফি দেয়া সংক্রান্ত নিয়ম টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এর http://ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে এবং এনটিআরসিএ এর www.ntrca.gov.bd ওয়েবসাইটে স্বতন্ত্রভাবে প্রদর্শন করা হয়েছে। আবেদন এবং ফি দেয়ার নিয়মের বিষয়ে ভিডিও টিউটোরিয়াল নমুনা (ডেমো) টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এর http://ngi.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের স্মারক নং ৩7.00.0000.013.88.017.19.19 তাং 25/01/2024 খ্রি: মূলে জারিকৃত পরিপত্রের ০৭ নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক কর্মরত শিক্ষকদের (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) সমপদে আবেদন করার সুযোগ নেই। তবে স্কুল পর্যায়ে যদি কোন নিবন্ধন সনদধারী (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) প্রাপ্ত প্রার্থীর কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি কলেজ পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন তবে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত কলেজ পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। বিপরীতক্রমে কলেজ পর্যায়ে নিবন্ধন সনদ ধারী এমপিওভুক্ত প্রার্থীর যদি স্কুল পর্যায়ের শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকে এবং তিনি যদি স্কুল পর্যায়ে এমপিওভুক্ত না হন তবে তার নিবন্ধন সনদে উল্লিখিত স্কুল পর্যায়ের পদে ও প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হলে পূর্বের প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
এমপিওভুক্ত প্রার্থীর একটি পর্যায়ের (স্কুল/কলেজ) একাধিক শিক্ষক নিবন্ধন সনদ থাকলে উক্ত প্রার্থী একই পর্যায়ে আবেদন
করতে পারবেন না।
যদি কোন প্রার্থী কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত (এমপিওভুক্ত/ইনডেক্সধারী) হওয়া সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে আবেদন করে নির্বাচিত হন তবে তার নির্বাচন বাতিল করা হবে এবং তার বিদ্যমান এমপিও বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০২১ এর ১২.২ অনুচ্ছেদ, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-2018 (23.11.2020 পর্যন্ত সংশোধিত) এর ১২ (খ) অনুচ্ছেদ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ [ভোকেশনাল, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা (বিএম), কৃষি ডিপ্লোমা ও মৎস্য ডিপ্লোমা] (23.11.2020 পর্যন্ত সংশোধিত) এর ২৩.৩ অনুচ্ছেদে কর্মরত (এমপিওভুক্ত) শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন/বদলীর জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নীতিমালা প্রণয়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) পদের জন্য শুধুমাত্র মহিলা প্রার্থীগণ আবেদন করতে পারবেন। মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরুষ প্রার্থীগণের আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রার্থী মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করে নির্বাচিত হলে তার নির্বাচন বাতিল করা হবে।
সহকারী শিক্ষক (ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা) পদে চাকরি প্রত্যাশী আবেদনকারীকে অবশ্যই সে ধর্মের অনুসারী হতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করলে নির্বাচন বাতিল করা হবে।
e Application ফরম পূরণের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নামের বানানসহ অন্যান্য তথ্যাদি নিবন্ধন সনদে বর্ণিত তথ্যের অনুরূপ হতে হবে। নামের বানান নিবন্ধন সনদের অনুরূপ না হলে বা ভুল বানান ব্যবহার করলে কম্পিউটার Processing এ বিভ্রাট ঘটবে যার দায় সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীকে বহন করতে হবে।