৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি

রোল ব্লক: নিয়োগের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন চাকরিপ্রার্থীরা

এনটিআরসিএ’র লোগো
এনটিআরসিএ’র লোগো  © ফাইল ছবি

চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের সুপারিশ না করতে তাদের রোল ব্লক করে রাখা হয়। রোল নম্বরে মিল থাকায় সুপারিশ থেকে বাদ পড়েন ইনডেক্স না থাকা বেশ কিছু প্রার্থী। পরবর্তীতে সমস্যায় পড়া অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া কিছু পদ নিয়োগের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। তবে সংরক্ষিত পদগুলোতে এখনো কাউকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। এই অবস্থায় নিয়োগ সুপারিশ পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, রোল ব্লক জনিত কারণে ৭৭ জন বাদ পড়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৫৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হলেও বাকিদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এই অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

এনটিআরসিএ বলছে, সংরক্ষণ করা ২৪টি পদে প্রার্থীদের নিয়োগ সুপারিশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলে সংরক্ষণ করা পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। তবে ২৪টি পদে নিয়োগের অনুমতি সংক্রান্ত এনটিআরসিএ’র পক্ষ থেকে কোনো চিঠি পায়নি বলে দাবি করেছে মন্ত্রণালয়। তারা বলছেন, ৭৭ জন প্রার্থীর বিষয়ে অনেকদিন আগে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নতুন করে ২৪ জনের অনুমতি সংক্রান্ত কোনো চিঠি তারা পাননি।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-২) মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘নতুন করে ২৪ জনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো চিঠি আমাদের কাছে নেই। ১২৪ জনের একটি চিঠি আমাদের কাছে রয়েছে। তাদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ১৬টি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজন করেছে এনটিআরসিএ। নিবন্ধন পরীক্ষা পৃথক হলেও একাধিক নিবন্ধনধারীদের একই রোল নম্বর দেওয়া হয়েছে। ইনডেক্সধারীদের রোল নম্বরের সাথে সাধারণ নিবন্ধনধারীদের রোল মিলে যাওয়ায় সেগুলোও ব্লক করে রাখা হয়। আর তাতেই চাকরির সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অনেকে।

বাদল রয় নামে এক ভুক্তভোগী জানান, আমার রোল ব্লক করে রাখায় আমি চাকরির সুপারিশ পাইনি। এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়া অনেকেই নতুন করে সুপারিশ পেলেও আমাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার এনটিআরসিএতে গিয়েছি। তারা বলছেন, মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। প্রতিবারই আমাদের এই কথা বলা হচ্ছে। আমরা চরম হতাশার মধ্যে রয়েছি।

মো. জলিল নামে আরেক ভুক্তভোগী বলেন, এনটিআরসিএ বলছে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চেয়েছে; অথচ মন্ত্রণালয় বলছে তারা এ ধরনের কোনো চিঠিই পাননি। আমরা তাহলে কোথায় যাব? আমাদের সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। আমরা দ্রুত নিয়োগের সুপারিশ চাই।

সার্বিক বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সংরক্ষিত ২৪টি পদে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ