বছরে তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা এনটিআরসিএ’র

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএ লোগো
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএ লোগো  © ফাইল ছবি

প্রতিবছর তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এজন্য তিনবার শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তথ্য পাওয়ার পর শিক্ষক নিবন্ধনের জাতীয় মেধাতালিকা অনুযায়ী নিয়োগ সুপারিশ করা হবে।

এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, ২০১৫ সালে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা পায় এনটিআরসিএ। গত ৮ বছরে মাত্র চারটি বড় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পেরেছে সংস্থাটি। দীর্ঘ সময় পর পর গণবিজ্ঞপ্তি হওয়ায় শিক্ষক সংকট দূর করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় বছরে তিনবার গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ সুপারিশ করতে চায় সংস্থাটি।

ওই সূত্র আরও জানায়, বছরে তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়টি ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবে নিয়েছেন। খুব দ্রুত এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি হতে পারে।

আরও পড়ুন: শিক্ষক নিবন্ধনের পাস নম্বর ৫০ হতে পারে

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএ’র উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশে দীর্ঘ সময় লাগে। আমরা যখন চূড়ান্ত সুপারিশ করি তখন নতুন করে অনেক প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট তৈরি হয়। সেজন্য প্রতিবছর তিনবার শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করে তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘আমরা আমাদের পরিকল্পনার কথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। এখন বিষয়টি তাদের হাতে। এনটিআরসিএ’র আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা তারা নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত করবে নাকি আলাদা নির্দেশনা জারি করবে সেটি মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।’

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষক সংকট দূর করতে আমরা প্রতিবছর তিনবার শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এটি বাস্তবায়ন হলে প্রতিবছর তিনটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তখন আর শিক্ষক সংকট থাকবে না।’


সর্বশেষ সংবাদ