চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি: যে কারণে অর্ধেকেরও বেশি পদ ফাঁকা

এনটিআরসিএ লোগো
এনটিআরসিএ লোগো  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। যদিও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৬৮ হাজার ৩৯০ জন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করার কথা ছিল।

স্কুল পর্যায়ের বেশ কিছু বিষয়ের প্রার্থী না পাওয়া, মহিলা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকাসহ বেশ কয়েকটি কারণে অর্ধেকেরও বেশি পদ ফাঁকা রয়েছে বলে জানিয়েছে এনটিআরসিএ। এছাড়া অনেকে সার্টিফিকেটে উল্লেখ না থাকা বিষয়ে আবেদন করার শূন্য পদের সংখ্যা বেশি হয়েছে।

এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ১০ হাজারের বেশি পদ মহিলা কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল।  মহিলা কোটায় আবেদন যোগ্য প্রার্থী না থাকায় সিংহভাগ পদই ফাঁকা রয়েছে। এছাড়া স্কুল পর্যায়ে ভৌত বিজ্ঞান, ইংরেজি, আইসিটি এবং শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের অসংখ্য পদ ফাঁকা রয়ে গেছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, কলেজ পর্যায়ে শূন্য পদের চেয়ে যোগ্য প্রার্থী বেশি। এর ফলে কলেজ পর্যায়ে নিয়োগ সুপারিশ করতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি। প্রভাষক পদ ফাঁকাও নেই। তবে স্কুল পর্যায়ে যতগুলো শূন্য পদ রয়েছে সেই সংখ্যক যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে পদ আছে প্রার্থী নেই। আবার অনেক পদের ক্ষেত্রে প্রার্থী রয়েছে, কিন্তু পদ নেই। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা ধারণা করেছিলাম ১০ হাজারের মতো পদ ফাঁকা থাকবে। তবে এবার পদসংখ্যা বেশি ফাঁকা রয়ে গেছে।

অর্ধেকেরও বেশি পদ ফাঁকা রয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার যার সার্টিফিকেটে যে বিষয়টি উল্লেখ ছিল তাকে সেই পদের বাইরে সুপারিশ করা হয়নি। এছাড়া স্কুল পর্যায়ের বেশ কয়েকটি বিষয়ে আবেদনযোগ্য প্রার্থী ছিল না। মহিলা কোটাতেও আমরা প্রার্থী পাইনি। এর ফলে বিপুল সংখ্যক পদ ফাঁকাই রয়ে গেছে।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। এক লাখের বেশি চাকরি প্রার্থী শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেন। 

আবেদনকৃতদের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল রোববার ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ