শ্বশুরের পাঠানো গরু-ছাগলে কুরবানি, ক্ষেপেছেন আহমাদুল্লাহ

কোরবানির গরু
কোরবানির গরু   © সংগৃহীত

কোরবানির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নিকটবর্তী হতে পারে। কুরবান শব্দের অর্থ নিকটবর্তী হওয়া, সান্নিধ্য লাভ করা। কুরবানির ঈদের দিনে ঈদ পালন করা হয়ে থাকে, এজন্য একে কুরবানির ঈদ বা ঈদুল আজহা।পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আল্লাহর নিকট তাদের গোশত এবং রক্ত পৌঁছায় না, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদের পথ-প্রদর্শন করেছেন; সুতরাং আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদেরকে। [সূরা আল-হাজ্জ: ৩৭]

কোরবানির উদ্দেশ্য মূলত আল্লাহ্‌র নিকটে সান্নিধ্যে লাভের জন্য হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই নিয়ে নানা ধরনের অপসংস্কৃতির চর্চা রয়েছে। বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলেও এসব অপসংস্কৃতির চর্চা হয়। আমাদের দেশে ‘মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে গরু-ছাগল পাঠানো সংস্কৃতি’ রয়েছে। যা নিয়ে দেশের সুশীল সমাজ নানা ধরনের মতবাদ দিয়ে থাকেন।

তবে এবার দেশবরেণ্য, বিশ্ববিখ্যাত দাঈ মাওলানা শায়খ আহমাদুল্লাহ ক্ষেপেছেন। দিয়েছেন সমাধানও। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। এতে কয়েক হাজার নেটিজেন তাদের মতামত দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, ‘যারা শ্বশুরবাড়ির আম-কাঁঠাল বা কুরবানির গরু-ছাগলের জন্য লালায়িত তারা স্ত্রীর কাছে ধরনা না দিয়ে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে যোগাযোগ করুন।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরো লিখেছেন, আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি ইফতার, আম-কাঁঠাল বা গরু-ছাগলের জন্য স্ত্রী বা পুত্রবধুকে বিরক্ত করেন না।

ধর্মীয় এই স্কলারের পোস্টে রাসেল মিয়া নামে একজন তার মন্তব্যে দাবি করেছেন, আসছে কোরবানির ঈদে শ্বশুর বাড়ীর লোকজনদের সামর্থ্য না থাকার পরে-ও চাপ দিয়ে গরু-ছাগল নিয়ে কোরবানি দেওয়া মানুষটার চাইতে পশু গরু-ছাগল গুলো অনেক উত্তম। আফসোস হয় আমার এরা গোস্ত খায় নাকি মেয়ের বাবার কলিজা খায়?

মাহমুদুল হক জালীস বলেছেন, বর্তমানে এটা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এর থেকে জাতিকে বের করে আনা আবশ্যক।

হাবীব জিয়ন মন্তব্য করেছেন, আবদার করতে হয় না। এমনিতেই দেয়। এটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আহমাদুল্লাহ’র প্রশংসা করে শাকিল সাজ্জাদ জানিয়েছেন, দারুণ! প্রিয় শায়খ, শুনতে খারাপ লাগলেও এটিই ঘটছে; আমাদের দেশে বিবাহযোগ্য ছেলের তুলনায় বিবাহ-অযোগ্য ভিক্ষুকের সংখ্যাই বেশি। আর কেন জানি অনেক ক্ষেত্রেই সেসব ভিক্ষুকদেরকেই বেশির ভাগ মেয়ের বাবা-মায়েরা আদর্শ বিবাহযোগ্য ছেলে হিসেবে সাব্যস্থ করেন।

এবারের ঈদে এই ‘অপসংস্কৃতি’ কতটা দূর হবে, আর আহামদুল্লাহ’র পরামর্শ-সমাধানই-বা কতটুকু কাজে আসবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।


সর্বশেষ সংবাদ