চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত জমির মূল্যে কারসাজির ‘প্রমাণ’ পেয়েছে দুদক

দুদক প্রতিনিধি দল
দুদক প্রতিনিধি দল   © সংগৃহীত

চাঁদপুরে প্রস্তাবিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-এর জমি অধিগ্রহণ মূল্যতে কারসাজি অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।এর আগে, চাঁদপুরে সরেজমিনে যায় দুদকের একটি প্রতিনিধি দল। পরে তারা জমি অধিগ্রহণে মূল্য কারসাজি সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেন। 

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানিয়েছে, সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস্ সাদাৎ-এর নেতৃত্বে দুদকের একটি প্রতিনিধি দল চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেছে।দুদক এইগুলো পর্যবেক্ষণ করেছে, পর্যবেক্ষণে জমির মূল্য কারসাজিতে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খানের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, জমির দাম বাড়তি দেখিয়ে এবং বেআইনিভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করার মাধ্যমে সেলিম খান বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন-এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।

দুদক শিগগির এর সঙ্গে জড়িত সবার বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবে।

আরও পড়ুন : স্বল্প আলোয় ক্যাপসিকাম চাষে খুবি শিক্ষার্থীর সাফল্য

দুদক জানিয়েছে, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণে সুকৌশলে জমির মূল্য প্রায় ২০ গুণ বেশি দেখিয়ে সরকারের প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে অগাধ সম্পত্তি অর্জন বিষয়ে চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল।

দুদক আরও জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে বুধবার দুদকের অভিযানে তদন্ত দল লক্ষ্মীপুর মৌজায় চাঁদপুর-হাইমচর সড়কের নিকটস্থ মেঘনা নদী থেকে ৮০০ মিটার দূরে অবস্থিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্শ্বিবিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত জমি সরেজমিন পরিদর্শন করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ