ঢাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © ফাইল ফটো

নাগরিক সুবিধা এবং কর্মসংস্থানের জন্য রাজধানী ঢাকার উপর মানুষের চাপ বাড়ার ফলে এটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে রাজধানীর এ শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে বলেও মত তার। রবিবার (৬ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকাকে যখন সিটি করপোরেশন করা হলো, তখন মানুষের চাপের কারণে নাগরিক সেবা ঠিকভাবে দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। যে কারণে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তবুও নাগরিক সুবিধা এবং কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকার উপর মানুষের চাপ বাড়ছে। ফলে রাজধানী বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, একটা মাত্র সিটি করপোরেশন ছিল। অথচ জনসংখ্যা তো বিশাল। একটা সিটি করপোরেশন দিয়ে এতগুলো মানুষের সেবা দেওয়া অসম্ভব ছিল। যে কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এর আশেপাশের ইউনিয়নগুলো যেগুলো ঢাকা সংলগ্ন অথচ তারা নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে না, সেই মানুষদের যুক্ত করে ঢাকাকে দুই ভাগে ভাগ করা।

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহর এক সময় ছিল ছোট শহর। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা দিয়ে ঘেরা। ভৌগোলিক পরিবেশ ও স্বাধীন দেশের রাজধানী হিসেবে এর গুরুত্ব বেড়ে যায়। জনসংখ্যা বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় মাধ্যম কৃষি: প্রধানমন্ত্রী

‘‘বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল তৃণমূলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূল পর্যায় থেকে যেন উন্নয়ন আসে সে চেষ্টা তিনি করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। ফলে ধীরে ধীরে মানুষ রাজধানীমুখী হয়ে পড়ে কর্মসংস্থানের জন্য। চাপটাও বেড়ে যায়।’’

রাজধানীর বাইরে নাগরিকদের বসবাসের পরামর্শ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আর ঢাকায় যাদের কর্মক্ষেত্র তাদের আসা-যাওয়ার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরে একটা বাড়ি বা ফ্ল্যাট না থাকলে জীবন বৃথা এই চিন্তা নাগরিকদেরকে মাথা থেকে সরিয়ে দিতে হবে। আমরা রাস্তার উন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছি। খুব সহজেই ঢাকায় আসা-যাওয়া করতে পারবেন এমন যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করে দিচ্ছি। এক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে স্থায়ী ঠিকানা খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

বস্তিবাসীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাদের জীবন-যাপন সুন্দর করতে ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ফ্ল্যাটে বস্তিবাসী ভাড়ায় থাকবেন। তারা চাইলে প্রতিদিন, চাইলে সপ্তাহে কিংবা মাসে ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন। বস্তিবাসীর জীবনমান এবং তাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ