৭ দিন থাকবে ভারি বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা

৭ দিন থাকবে ভারি বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা
৭ দিন থাকবে ভারি বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা  © টিডিসি ফাইল ফটো

সারাদেশে আগামী সাতদিন ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী সাত দিন দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকা অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় ভারি বর্ষণের কারণে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে আগামী তিন থেকে সাত দিন দেশের উত্তরাঞ্চলে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘনা অববাহিকায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ভারি বর্ষণের ফলে আকস্মিক বন্যা হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আজ শুক্রবার ময়মনসিংহ, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় এবং রংপুর ও খুলনা বিভাগের অনেক স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। পাঁচ দিন আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকবে। আজ ও আগামীকাল শনিবার দেশজুড়ে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে। নদীর তীরবর্তী তিনটি এলাকার ২৫টি বাড়ি এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গতকাল জেলার পুরাতন জেলখানা ঘাট শহর রক্ষা বাঁধের ১৫০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। রাতভর টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ৩৬টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড এবং তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পৌরসভার দেড় শতাধিক পুকুরের ওপর দিয়ে তিন ফুট উঁচু পাহাড়ি ঢল প্লাবিত হয়েছে। দুই হাজার একর সবজিক্ষেত ডুবে গেছে। বাঁশখালী পৌরসভা, পুঁইছড়ি, শীলকূপ, চাম্বল, শেখেরখীল, বৈলছড়ি ও কালীপুর ইউনিয়নের ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ময়মনসিংহে টানা দুই দিনের প্রবল বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল আর নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে এর তীরবর্তী কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ঘোষগাঁও ইউনিয়নের নয়াপাড়া, দিঘলবাগ, কালিকাবাড়ী গ্রামের মানুষ। বেড়িবাঁধ ভেঙে ভালুকাপাড়া ও রায়পুরের মানুষ এখন পানিবন্দি। হালুয়াঘাট পৌর শহরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েকটি গ্রাম। উপজেলার ভুবনকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া, কড়ইতলী, মহিষলাটি ও তেলিখালী এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। নতুন করে ধারা, ধুরাইল, নড়াইল, আমতৈলী, মহিষলাটি ও তেলিখালী এলাকায় পানি উঠতে শুরু করেছে।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম জানান, আজ সারা দেশেই বৃষ্টি হবে। তবে রাজশাহী, ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। দুই দিন অব্যাহত থেকে বৃষ্টিপাত কমে এলেও পুরোপুরি বন্ধ হবে না। কমপক্ষে পাঁচ দিন হালকা অথবা থেমে থেমে বৃষ্টি হবে।


সর্বশেষ সংবাদ