২১ ফেব্রুয়ারি: এক সংগঠন থেকে ৫ জনের বেশি শ্রদ্ধা নয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০৩:১৬ PM , আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২১, ০৩:৩৮ PM
কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২১’ সুষ্ঠুভাবে উদ্যাপনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগত সকলকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং মাস্ক পরিধান ছাড়া কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না ।
এছাড়া, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠন/প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসাথে সর্বোচ্চ ২ জন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন।
অমর একুশে উদ্যাপন উপলক্ষ্যে রবিবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, রেজিস্ট্রার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের প্রতিনিধি, অফিস প্রধানগণ এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতিসমূহের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভার শুরুতে মহান ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ও সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, এবছর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়িয়ে চলার বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়াও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণœ রাখার স্বার্থে অমর একুশে উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচি সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায়, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপনের কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আইন অনুষদের ডিন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সমন্বয়কারী, সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়াকে যুগ্ম-সমন্বয়কারী এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীকে সদস্য-সচিব করে অমর একুশে উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ছাড়াও মহান অমর একুশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়।