বিদ্যালয়-কলেজে ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটা বিতর্ক উস্কে দেবে: সাইয়েদ আব্দুল্লাহ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১১:২০ AM , আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১১:২০ AM

মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত বিতর্ককে উস্কে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়েদ আব্দুল্লাহ। আজ সোমবার (৩ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার বা আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমার একান্তই ব্যক্তিগত অভিমত হলো— এইটাইপ কোটার কোন দরকার নাই, এইভাবে কোটা সিস্টেম রাখলে তা বরং বিতর্ককে উস্কে দেবে।
‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতি কোটার সাথে এই কোটার বিশাল গুণগত পার্থক্য আছে, সেটা আমি জানি এবং মানি, স্টিল এটার দরকার ছিল না।’, যোগ করেন তিনি।
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, আহত যারা আছেন, তাদেরকে উন্নতমানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। শহীদ পরিবার এবং আহত পরিবারকে খুবই ভালো অ্যামাউন্টের অনুদানের ব্যবস্থা করেন, যাদের ঘরবাড়ি ঠিকঠাক নাই, সেসব বানিয়ে দিন। অন্য নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা যায়— এসব ক্ষেত্রে কেউই কোনো কথা বলবে না, বরং খুশি হবে।
তিনি বলেন, স্কুলে ভর্তির আইওয়াশ ‘কোটা’ বাদ দিয়ে বরং তাদের অন্য সবকিছু নিয়ে মনোযোগী হন। নাকি এই টাইপ কোটা চালু করে এইটা দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে, তাদের জন্য কত্ত মনোযোগী এই সরকার? মানে ব্যর্থতা মুছে দেওয়ার জন্য আইওয়াশ কোনো প্রজেক্ট?
আরো পড়ুন: প্রাথমিকের ৬৫৩১ জনের ফলাফল বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানি আজ
আহতদের সঠিক চিকিৎসা নিয়ে বহু গড়িমসি হয়েছে—এটা ফ্যাক্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলোর পেছনে বরং বেশি মনোযোগী হন। কাজের কাজটা না করে এই যে এভাবে বিতর্ক তৈরি করার সুযোগ দেওয়ার মানেটা কী?
সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, এভাবে কোটা চালু করার (যদিও তা খুবই লিমিটেড স্কেলে আছে) পক্ষে আমি নই। এসব করে মূলত গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কোটা সংক্রান্ত বিতর্ক তৈরি করে, আমজনতার কাছে গণঅভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার সূক্ষ্ণ কোন প্রজেক্ট কিনা—সেটাও ভাবাটা জরুরি। আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য এই লেখাটা লিখলাম।