ক্ষমতায় যেতে জামায়াতের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, তবে...

মির্জা গালিব
মির্জা গালিব  © সংগৃহীত

তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। একসময় তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করতেন। এখন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। জামায়াত ইসলামীকে ক্ষমতায় যেতে ও শক্তিশালী দল হয়ে উঠতে তিনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে জামায়াত ইসলামীর রাজনীতি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

ড. মির্জা গালিব তার স্ট্যাটাসে জামায়াতে যেমন সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন, তেমনই দলটির কিছু শক্তিশালী দিক তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্ষমতায় যাওয়ার মত দল হয়ে উঠার ক্ষেত্রে জামায়াতের বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। জামায়াত এখনো পুরোপুরি জনসম্পৃক্ত দল হয়ে উঠতে পারে নাই। ক্যাডার ভিত্তিক দল হওয়ার কারণে অন্যান্য বড় দলগুলোর তুলনায় জামায়াতে প্রফেশনাল লোকদের পার্টিসিপেশান কম। এর বাইরে একাত্তর একটা বড় ইস্যু।’ 

 ড. মির্জা গালিব তার স্ট্যাটাসে জামায়াতের দুটি বড় শক্তিশালী দিক তুলে ধরেছেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তুলনা করে আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যৎতে জামায়াত ক্ষমতায় যেতে পারে। তার মতে, ‘এক. জামায়াত যেহেতু ক্যাডার ভিত্তিক দল, তার দলের মধ্যে অসাধারণ ডিসিপ্লিন আছে। কোন আভ্যন্তরীণ গ্রুপিং, মারামারি—এসব বড় স্কেলে নাই। ফলে, জামায়াত দলগতভাবে বেটার সার্ভিস দিতে পারবে।’ 

তিনি দ্বিতীয় শক্তিশালী দিক উল্লেখ করে বলেন, ‘দুই. জামায়াতের একটা নিজস্ব অর্থ ব্যবস্থা আছে। দলের কর্মীরা নিয়মিত দলকে মাসিক চাঁদা দেয়। সেইখান থেকে দলের সকল খরচ চলে। দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচও। এইটা একটা অসাধারণ মডেল। রাজনীতি করতে গেলে টাকার প্রয়োজন। সাধারণ দলগুলোতে যেহেতু নিজের পকেটের পয়সায় রাজনীতি করতে হয়, স্বভাবতই সেই টাকা আরেক জায়গা থেকে উসুল করতে হয়। ফলে, গতানুগতিক রাজনৈতিক মডেলের মধ্যে থেকে দুর্নীতি মুক্ত হওয়া প্রায় অসম্ভব একটা কাজ। জামায়াতের মডেল ভিন্ন বলে এইখানে দুর্নীতিতে জড়ানোর সম্ভাবনা কম থাকে।’  

তিনি আর বলেন, ‘জামায়াতের এই দুই অসাধারণ সুবিধার সাইড ইফেক্ট হইল, কিছুটা কম জনসম্পৃক্ত নেতৃত্ব। জামায়াত যদি জনগণকে বুঝাইতে পারে যে, তাদের নেতাদের একটু কম চিনলেও এদের দ্বারাই সাধারণ মানুষ বেশি উপকৃত হবে, তাইলে জামায়াতের পক্ষে নির্বাচনে আরো ভাল করা সম্ভব। বিশেষ করে জুলাই বিপ্লবের পরের এই পরিস্থিতিতে।’


সর্বশেষ সংবাদ