রাজনীতি ও দল করার অধিকার সবার আছে : জামায়াত সেক্রেটারি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৬ PM , আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৬ PM

রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল করার অধিকার সবার আছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ার। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন নিয়ে আলোচনার সময় এ নিয়ে কথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, আমরা বলেছি, সংবিধানে প্রত্যেক ব্যক্তির রাজনৈতিক দল করার এবং রাজনীতি করার অধিকার আছে। ২০০৮ সালের পর নিবন্ধন আইন চালু করা হয়েছে। এর আগেও তো আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। নিবন্ধন আইন এত কঠিন শর্ত দিয়ে করা হয়েছে, এসব শর্ত দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার খর্ব করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ জন্য আমরা বলেছি, এই আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা বাতিল করা উচিত। রাজনীতি ও দল করার অধিকার সবার আছে। কঠিন শর্ত দিয়ে তা বিঘ্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি সরকারি কর্মকর্তা এবং লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত যারা, তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির তিন বছর পূর্ণ না হলে রাজনীতিতে যোগ্য করা যাবে না।
আরও পড়ুন : ছাত্রদের নতুন দল : নেতৃত্বে আসছেন যারা
জামায়াতের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, ৩০০ আসনে নির্বাচন করার সক্ষমতা জামায়াতে ইসলামীর আছে। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রস্তুত করে ফেলেছি।
সেক্রেটারি জেনালের বলেন, আমাদের প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। যদিও অফিশিয়ালি সেন্ট্রাল ডিক্লারেশন হয়নি। তবে লোকালি বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বাছাই হচ্ছে। সেই খবরগুলো গণমাধ্যমে আসছে।
বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার ব্যাপারে ইসির সঙ্গে আমাদের খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আমাদের বক্তব্যগুলো তাদের কাছে লিখিত আকারে পেশ করেছি। তারাও সে বিষয়ে তাদের বক্তব্য রেখেছেন। ইসির সক্ষমতা, সীমাবদ্ধতা, সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সংস্কার বিষয়ে জামায়াতের দ্বিতীয় এই নেতা বলেন, আমরা পুরো দেশ সংস্কারের কথা বলিনি। বলেছি যে অন্তত নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হতে যেটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেটুকু সংস্কার করতে হবে। ইসিকে বলেছি সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। অন্তত নির্বাচনপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যেসব সংস্থা জড়িত, সেগুলোকে সংস্কার করেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে হবে। তা না হলে এই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না, অবাধ হবে না।
আরও পড়ুন : কাফনের কাপড় পরে শাহবাগে প্রাথমিকের সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা
আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আগের তিনটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সংস্কার করা না হলে আগামী নির্বাচনে সেই পুনরাবৃত্তি ঘটবে। এতে আন্দোলনে যে দুই হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে এবং ৩০ হাজার আহত হয়েছে, তাদের রক্ত বৃথা যাবে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এটা দায়িত্ব নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করার জন্য যে সংস্কার প্রয়োজন, তার জন্য যতটুকু যৌক্তিক সময়ের দরকার জামায়াতে ইসলামী দেবে।
প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মতিউর রহমান আকন্দ, মিডিয়া ও প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিমউদদীন সরকার, কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য সদস্য ইউসুফ আলী, মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য কামাল উদ্দিন।