ভোলায় গুঁড়িয়ে দিল আ.লীগ অফিস ও শেখ মুজিবের ৩ ম্যুরাল

  © সংগৃহীত

ভোলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের তিনটি ম্যুরাল ও জেলা আওয়ামী লীগ অফিস।

বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন মুছে ফেলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি এক্সকাভেটর (ভেকু যন্ত্র) নিয়ে প্রথমে ভোলা পৌর ভবনের পাশে থাকা ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়। পরে জেলা পরিষদ চত্বর, জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে থাকা ম্যুরালগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় এক্সকাভেটরের সঙ্গে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। এরপরই ভোলা শহরের বাংলা স্কুল মোড়ে অবস্থিত সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দোতলা ভবনটি এক্সাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

ফ্যাসিবাদের চিহ্ন মুছে ফেলতেই বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি।

এ সময় একজন বিক্ষুব্ধ জনতা জানান, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে।  তার সেই ষড়যন্ত্রের বৈঠকের জেরেই তার বাবার এসকল ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তাকেও এখন ভারত থেকে এনে দেশের মানুষের কাছে হস্তান্তর করা হউক।  তাহলেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার উপর দেশের মানুষের ক্ষোভ কিছুটা হলেও কমবে।

এর আগে বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ভোলার গাজীপুর রোডের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র ও জনতা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় আগুন নিভাতে কাউকে দেখা যায়নি। পর দিন সকালেও আগুন জ্বলে এবং মানুষ ঘরের মালামাল ইচ্ছা মতো নিয়ে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ