ইসলামী আন্দোলনের আমিরের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম  © সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম দুই দিন আগেই বিএনপির প্রতি বিষোদ্‌গার করেছেন। আর আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সেই দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তিনি। বিএনপির দলীয় সূত্রে এই খবর জানা গেছে।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর পুরোনো পল্টনের নোয়াখালী টাওয়ারে ইসলামী আন্দোলনের দলীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে, গত শনিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) জামায়াতে ইসলামীর আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, দুটি ইসলামি দলের সৌজন্য সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে, ৫৩ বছরে যারা দেশকে ফ্যাসিবাদ ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। বিএনপি নতুন করে আর কী দেখাবে, এই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘তারা যা করবে, তা আমরা এখনই তো দেখছি।’

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, দুটি ইসলামি দলের সৌজন্য সাক্ষাতে অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে, ৫৩ বছরে যারা দেশকে ফ্যাসিবাদ ছাড়া কিছুই দিতে পারেনি। তাদের নতুন করে দেখার কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর মানুষ নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। তারা ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স চায়। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। দেশের ইসলামি ও সমমনা দলগুলোকে কীভাবে কাছে এনে একটি বৃহত্তর সমঝোতা গড়ে তোলা যায় এবং নির্বাচনে একটি বাক্স দেওয়া যায়, সেটা জনগণের চাহিদা।’

রাজনীতির উদ্দেশ্য দেশ, জাতি ও মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, স্বাধীনতার পর সরকারগুলো জনগণের সেই আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এদের নতুন করে দেখার আর কিছু নেই। ৫ আগস্টের পর একটি দল ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নতুন করে আর কী দেখাবে? তারা যা করবে, তা আমরা এখন তো দেখছি। ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানের পর মানুষ আশার আলো দেখছে। নীতি ও আদর্শের নাম ইসলাম। যাদের কথা ও কাজে মিল আছে, তাদের ক্ষমতায় পাঠাতে হবে। নতুন করে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না।’

অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ভালো নীতি ও নেতার দ্বারা দেশ চালালে দেশ ভালো চলবে। মানুষ ইসলামের বিজয় চায়। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি বলেন, ‘জালিম স্বৈরাচার হাসিনা সরকার দেশ ধ্বংস করেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর দখল, বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি ও চাঁদার হাতবদল হয়েছে। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে দুর্নীতিতে দেশ পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’

সমাবেশে অংশ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, দেশ ও জাতিকে বিভক্ত করার রাজনীতি আর ফিরে আসতে দেওয়া হবে না। যাঁরা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের মাধ্যমে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছেন, তাঁদেরও আওয়ামী লীগের পথে হটানো হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence