দুর্নীতির অভিযোগে এনসিটিবি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান
এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান  © সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দেশের উচ্চ আদালত হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। পরে বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন। 

জানা গেছে, এনসিটিবি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আছে নানা অভিযোগ। এর মধ্যে হলো পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (পিপিএ) ফলো না করা, প্রাক্কলিত-ব্যয় নির্ধারণ ও নিম্ন মানের কাগজ ব্যবহার। 

আইনজীবী মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘এনসিটিবির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতির বিষয় নিয়ে আমরা একটি রিট ফাইল করেছি। ২০২৫ সালের বইয়ের জন্য ২০২৪ সালে যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে, তাতে অনিয়ম হয়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে একটা কস্ট নির্ধারণ করা হয়। ফর্মা প্রতি ২.৮০ টাকা প্রাক্কলিক দর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে তা বেড়ে নির্ধারণ করা হয় ৩. ৭ পয়সা। এনসিটিবির বর্তমান চেয়ারম্যান আগের নির্ধারিত কস্ট বা খরচ বাতিল করে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ বাড়িয়ে প্রাক্কলিক দর নির্ধারণ করেন।

তিনি আরও বলেন, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট-১ (পিপিএ) ২০০৬, ৩১ এর ৩ ধারায় বলা আছে আপনার প্রাক্কলিত যে দর আছে, এর মধ্যে ১০ শতাংশ কম বা বেশি যদি দর থাকে তা গ্রহণ করা যাবে। এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে নতুন করে বা পুনরায় টেন্ডার দিতে হবে। কিন্তু তারা তা করেনি। এতে করে সরকারের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। এছাড়াও নিজেদের লোকদের দিয়ে কাজ করানোতে প্রাইমারি পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের দেওয়া তিনটি বইয়ে নিম্ন মানের কাগজ ব্যবহার করা হয় ও বইয়ের ব্রাইটনেস কম করা হয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে আমি জানি না। আমি মিটিংয়ে আছি।’ 


সর্বশেষ সংবাদ