জুমার দিনে যে সময় দোয়া কবুল হয়
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০২ AM , আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ PM
আরবি ‘জমা’ থেকে ‘জুমা’ শব্দের উৎপত্তি। জমা অর্থ হলো একত্র হওয়া বা একত্র করা। এই দিনে মুসলমানরা মসজিদে একত্র হয়। এ সময় তাদের মাঝে পরস্পর মতবিনিময় ও সেতুবন্ধন তৈরি হয়। আল্লাহ তাআলার কাছে দিনটির গুরুত্ব এত বেশি যে পবিত্র কোরআনে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সুরাও নাজিল করা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে ইরশাদ করেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচাকেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা ০৯)।
কোরআন-হাদিসেও জুমার শ্রেষ্ঠত্ব হওয়ার কথা পাওয়া যায়। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, সূর্য যেসব দিন উদিত হয় অর্থাৎ দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিন হলো জুমার দিন। এই দিন আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। কিয়ামতও সংঘটিত হবে এই দিনেই। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪, মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৯৪০৯)
নবীজি (সা.) বলেন, জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত। (ইবনে মাজাহ : ১০৮৪)
জুমার দিনের প্রতি মুহূর্তেরই আলাদা শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। তবে এই দিন আসরের পর কেউ যদি আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেন, আল্লাহ তাআলা তার দোয়া কবুল করে নেন।
হাদিসে এসেছে, জুমার দিনে ১২টি সময় রয়েছে, এ সময়ে কেউ আল্লাহ তায়ালার কাছে কোনো কিছু কামনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে সেটা দান করেন। সুতরাং আসরের পর তোমরা সে সময়টি তালাশ করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)
আরও পড়ুন : দেশে প্রথমবার পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত
হজরত আনাস ইবনু মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, জুমার দিনের যে মুহূর্তে দোয়া কবুল হওয়ার আশা করা যায়, তা আসরের পর থেকে সূর্যাস্তের মধ্যে তালাশ করো। (তিরমিজি, মুসলিম, মিশকাত)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জুমার দিনে একটা এমন সময় আছে, যে সময়ে কোনো মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে ভালো কোনো কিছু প্রার্থনা করলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে তা দান করবেন। (মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
রাসুল (সা.) থেকে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, জুমার দিনে ১২ ঘণ্টা রয়েছে। তাতে এমন একটা সময় রয়েছে, যাতে আল্লাহর বান্দা আল্লাহর কাছে যা চান, আল্লাহ তা-ই দেন। অতএব তোমরা আসরের শেষ সময়ে তা তালাশ করো। (আবু দাউদ : ১০৪৮; নাসাঈ : ১৩৮৯)
এ ছাড়া জুমার দিনে আসরের নামাজের পর কেউ ৮০ বার নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তাআলা তার জীবনের ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেন। একই সঙ্গে তার আমলনামায় ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব লেখা হবে।
দোয়াটির আরবি উচ্চারণ হলো : আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা।