ভোলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সংলগ্ন স মিল, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৬ PM , আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৮ PM
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সংলগ্ন সরকারি জায়গা দখল করে এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম সড়কে গাছের টুকরা রেখে দিন-রাত কাঠ চেরাই চলছে স মিলে (করাত কল)। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। সড়কে গাছের টুকরা রাখায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এমন ঘটনা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়ন ২ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেট-সংলগ্ন মেইন সড়কের পাশে।
সরেজমিন দেখা যায়, বাবুরহাট-দক্ষিণ আইচা গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম সড়কের পাশে নিজ নামে স মিল ব্যবসা পরিচালনা করছেন চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিজল সিকদার। তার স মিলে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাছ এনে সড়কের দুই পাশে ফেলে রেখেছেন। স মিল-সংলগ্ন পশ্চিম পাশে একটি কিন্ডারগার্টেন, দক্ষিণ পাশে একটি প্রাইমারি ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। স মিলে কাঠ চেরাই করার সময় মেশিনের শব্দ ও কাঠের গুঁড়ায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করা দায় হয়ে পড়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে।
আরও পড়ুন: দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে জায়ামাত নেতার মৃত্যু
এ ছাড়া সড়কে ট্রাক, ট্রলি ও ভ্যানে গাছ ওঠানামা করানের সময়ে অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে চরম ভোগান্তির সৃষ্টির হচ্ছে। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনসহ স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ইউপি সদস্য রফিজল সিকদার তার স মিলটি সকাল ৬টায় চালু করে রাত ১০টায় বন্ধ করেন। সারা দিন শব্দদূষণে অতিষ্ঠ। পরিবেশের বিপর্যয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনো কথাই শুনছে না রফিজল সিকদার। সরকারি নিয়মনীতি না মেনে স মিল ব্যবসা পরিচালনা করায় প্রতিদিন সাবাড় হচ্ছে বনজ, ফলদসহ নানা প্রজাতির গাছ। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকির অভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সংলগ্ন সড়কে গাছ রেখে স মিল ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। দ্রুত স মিলটি অপসারণ করার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: পাবনায় চাহিদার তুলনায় নতুন বই মিলেছে ৪০ শতাংশ
এ বিষয়ে রফিজল সিকদার বলেন, ‘আমার স মিলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমার জায়গায় আমি গাছ রেখেছি, কারও জায়গায় না। সড়কের ওপরে গাছ রাখার লাইসেন্স আছে।’
চরমানিকা বন বিট কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, স মিল মালিক রফিজল সিকদারকে সড়ক থেকে ১০ ফুট দূরে গাছ রাখার জন্য বারবার বলার পরও তিনি কোনো কথা শুনছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ওই স মিলে অভিযান চালানো হবে।’
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসনা শারমিন মিথি বলেন, `বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ওই স মিলে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযান পরিচালনা করব।’