সংস্কার ও নির্বাচন প্রস্তুতি একসঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা

ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ড. মুহাম্মদ ইউনূস  © সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সংস্কার বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন। এর কোনো বিকল্প নেই। সংস্কার ও নির্বাচনের প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলতে থাকবে। নির্বাচন প্রস্তুতির কাজ মূলত নির্বাচন কমিশনের।

তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতের অবদান জাতি কখনো ভুলতে পারবে না। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের রূপান্তর পর্বে প্রবেশ করার অধিকার অর্জন করেছি। এই রূপান্তর সহজভাবে কার্যকর করার জন্য আমাদের সব শক্তি নিয়োজিত করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। সংস্কার বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন। পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই।

নাগরিকদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও উদ্যোগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের এই কাঙ্ক্ষিত রূপান্তরের লক্ষ্য হচ্ছে, এই ঐক্যের জোরেই আমরা অসাধ্য সাধন করতে পারি। এখনই আমাদের সর্বোচ্চ সুযোগ। এমন অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে যেটা সব নাগরিকের জন্য বৈষম্যহীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করে। যত নিম্ন আয়ের পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, প্রত্যেক নাগরিকের, তিনি নারী বা পুরুষ, তিনি যেন বিনা বাধায় রাষ্ট্রের আয়োজনে তার সৃজনশীলতা প্রকাশ করে উদ্যোক্তা হতে পারেন অথবা যেকোনো কর্মজীবন বেছে নিতে পারেন।

জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ শুরু হয়েছে শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর)। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বেসরকারি সংগঠন ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস) আয়োজিত সংলাপের উদ্দেশ্য ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’। এ সংলাপ উদ্বোধন করেন অভ্যুত্থানে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যরা।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ও অর্থনীতিবিদ ড. মুশতাক হুসাইন খান এবং সমাপনী বক্তব্য দেবেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. আলী রীয়াজ।

এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের সাতজন উপদেষ্টা, ২০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা অংশ নেবেন। অনুষ্ঠান শেষে ঘোষণাপত্র প্রকাশ হবে।


সর্বশেষ সংবাদ